লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জননী প্রকল্পের সভায় তোপের মুখে এনজিও কর্মকর্তারা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে বুধবার ইউএনও নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে জননী প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা শুরু হয়। প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য স্বাস্থ্য সেবা ক্ষেত্রে সরকারের যে সিস্টেম চলমান আছে তা শক্তিশালীকরণ করা ও প্রয়োজন অনুসারে কিছু সাপোর্ট দিয়ে মাতৃ ও নবজাতক মৃত্যুহার কমিয়ে আনা।

উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস। আলোচনার এক পর্যায়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়েন এনজিও কর্মকর্তারা। তারা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এনজিও প্রত্যন্ত এলাকাগুলো বেছে নিয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বেতন ভাতায় প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় করে ফেলে। তারা তাদের কর্মকান্ড বিল ভাউচারে সীমাবদ্ধ রাখে।

আমরা দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। স্থান নির্ধারণে সংস্থাটি অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে। স্থান নির্ধারনে পিছিয়ে পড়া এলাকাকে গুরুত্ব না দিয়ে অগ্রগামী এলাকাকে প্রাধান্য দেয়ায় প্রকল্পের মূল লক্ষ থেকে সড়ে গেছে সংস্থাটি। ইউএনও নাজির হোসনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়। বিশেষ অতিথি জেলা পরিবার পরিকল্পনার সহকারী পরিচালক হারুনর রশিদ, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাঈম হাসান,ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার, সংস্থার রংপুর প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারাজ-দুক ভুঁইয়া ও জেলা সমন্বয়কারী মাইন উদ্দিন ভুঁইয়া, ৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ও সম্পাদক ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ উক্ত সভায় অংশ নেয়।

এর আগে জননী প্রকল্পের একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে এর কার্যক্রম তুলে ধরেন সংস্থার রংপুর প্রকল্প সমন্বয়কারী ফারাজদুক ভুঁইয়া।তিনি বলেন, আরডিআরএস বাংলাদেশের বাস্তবায়নে উক্ত প্রকল্পটির সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই উদ্যোগটি তিনধাপে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলায় আগামী ১৫ বছরে কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) এর মাধ্যমে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার কোইকা এনজিও অংশীদারিত্বের অধীনে সেভ দ্যা চিলড্রেন কোরিয়ার মাধ্যমে এই প্রকল্পের অর্থায়ন করছে।