লালমনিরহাটে ফুল দেয়া নিয়ে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ১০

লালমনিরহাটে বিজয় র‌্যালীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় রেলওয়ে শ্রমিক দল কার্যালয়ের সামনে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে একটি বিজয় র‌্যালী নিয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধের উদ্দেশ্য রওয়া হয় জেলা রেলওয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এ সময় র‌্যালীটি সড়কে উঠা মাত্রই আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী তাদের বিজয় র‌্যালীতে বাঁধা দেয়। এতে সংঘর্ষ বাঁধে। শুরু হয় উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে প্রতিদিনের সংবাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় প্রথমে আওয়ামীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি’র স্টেশন রোডে রেলওযে শ্রমিকদল অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে পরে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা স্টেশন রোডে শ্রমিকলীগ অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় দলের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো সংঘর্ষের আশংকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো শহর জুড়ে।

মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ক পুলিশ ও র‌্যাব। এছাড়া রয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি।

লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপ্রিয় বিজয় র‌্যালীতে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা কর্মীরা। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

তবে বিএনপি’র অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিএনপি’র এক কর্মী প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছড়েছে। ওই কর্মীকে খুজে না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে মিছিল করতে বারন করা হয়েছিল। এরপরেও যখন তারা মিছিল বের করায় তাদের সংগে আলোচনায় গেলে তারা উল্টো হামলা করেছে। এতে তাদের কয়েজন কর্মী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর থানা ওসি মাহফুজ আলম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি এলে তা নিয়ন্ত্রন করা হবে।