লালমনিরহাটে শিশু পার্কে মাদকে আখড়া
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে একটি শিশু পার্ক নির্মাণ করা হলেও অযত্ন অবহেলায় এখন গবাদিপশুর চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। এই সুযোগে শিশু পার্কে মাদকাসেবী ও নেশাগ্রস্ত জুয়ারুদের আশ্রয়স্থল পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলা শিশু পার্কটিতে বসেছে বখাটেদের আড্ডা। আর আশপাশে পড়ে আছে ফেন্সিডিলের খালি বোতল। যা দেখে সহজেই অনুমান করা যায় শিশু পার্কটির বেহাল চিত্র। যে কয়েকটি দোলনা আছে সেগুলোতেও মরিচা পড়েছে। পাশের স্লিপারগুলোতে উঠার নেই কোন পরিবেশ। চারদিকে জন্মেছে আগাছা আর খসে পড়ছে প্রাচীর দেয়ালগুলোর পলেস্তার।
জানা যায়, বিগত এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়িত হলে শিশুদের চিত্ত বিনোদনের কথা চিন্তা করে তৎকালীন সরকার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সংলগ্ন উত্তর – পুর্ব পাশে উপজেলার কর্মকর্তাদের থাকার কোয়ার্টার এরিয়ার ভিতরে বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক স্থাপন করা হয়।
মাঠের ভিতরে শিশুদের চিত্ত বিনোদন এবং খেলার জন্য লোহার দোলনা, মই, ছাতা ও বেঞ্চ নির্মাণ করা হয়। পার্কটি স্থাপনের পর কিছুসময় শিশুদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। তার পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে উপজেলা পরিষদ বাতিল হলে এ পার্কটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
এবং গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নিবার্চনের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২য় দফায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে উপজেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে পুনরায় উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন করলেও আজ অবধি উপজেলা পরিষদের এ শিশু পার্কটি সংস্কারে কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি।
আর সংস্কারের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় আস্তে আস্তে শিশুদের খেলনাগুলো পুরোটাই ধংস হয়ে যায়। অকেজো খেলনাগুলো অনেকটা চুরি হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার প্রাণকেন্দ্র তুষভান্ডার ও তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে অসংখ্য শিক্ষিত লোকের বসবাস এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্তেও শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য আজও কোন উদ্দ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়নি। এবং উপজেলার ভিতরে নির্মিত হয়নি কোন বিনোদন স্পট।
জুঁই, জান্নাতুল, মারুফা, হাবিবুর, আশরাফুল নামে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, শিশুদের জন্য নির্মিত শিশু পার্কে আমরা যেতে পারছি না। পার্কটিতে খেলনার কোন উপকরন নেই। নেই পরিস্কার পরিছন্নতা, খেলাধুলার জন্য তেমন পর্যাপ্ত জায়গা। ফলে আমরা বিনোদন বঞ্চিত হচ্ছি এটা আমাদের সাথে খুব অন্যায়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শিশুদের মেধা বিকাশে পার্কটিতে নতুন নতুন রাইডের সংযোজন করে সঠিক পরিচর্যার কথা। পাশাপাশি বখাটেদের আড্ডা বন্ধ করাসহ এলাকাবাসী দাবি আধুনিকায়নের।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম জানান শিশুদের কথা বিবেচনা করে শিশুপার্কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন