ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, ‘অনেক আগেই সংবিধান থেকে তত্বাবধায়ক সরকার মুছে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের আলোকেই যথা সময়ে নির্বাচন হবে। তাদের (বিএনপির) সমস্ত দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা কোনো ভাবেই সামনের দিকে এগোতে পারছে না। তাদের একটা দরজা-ই শুধু খোলা আছে। তা হলো-নির্বাচনে আসা।’

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, আরও উন্নয়ন চলমান রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন করে যাচ্ছে..। তা আপনারা খাবেন, তা কখনো হবে না। জাতির পিতার কি অপরাধ ছিল? তাঁর জীবন, যৌবন বাঙ্গালি জাতির জন্য উৎসর্গ করেছিলো। যার নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছিলো। তাঁকেও তার পরিবারকে হত্যা করেছিলো তাঁরা। পৃথিবীতে এমন কোন নজির নেই, যে রাষ্ট্রপতির সাথে তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। নজির রয়েছে শুধু রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে নৈরাজ্যর দিকে ঠেলে দিতে চায় বিএনপি। তারা এক দফা আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণকে আর বোকা বানানো যাবে না। তারা মনে করেছিলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দাঁড়ি ওয়ালা টুঁপিওয়ালা থাকবে না। অথচ দেখেন সাড়ে ১৪ বছরের আওয়ামী লীগের শাসন আমলে টুঁপিওয়ালা দাঁড়িওয়ালা বেড়ে গেছে।’
আমার বিচার বিশ্লেষণে তারা চরমভাবে হতাশ হয়ে গেছে। তারা বলেছিল আমাদের লজ্জা শরম নেই। এখন আমি বলছি-তাদের লজ্জা শরম নেই। আমাদেরকে ধাক্কা মারবেন, আমরা পড়ে যাবো? এত সহজ? আওয়ামী লীগের জন্ম আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই। আমি সত্যকে সত্য বলার চেষ্টা করি। জনগণ যদি আমাকে চায়। আমি থাকব। না চাইলে আমি ভোটেও আসব না।’

সভায় উপজেলা আ. লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান তালুকদারের সঞ্চলনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এছাড়াও শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, আনোয়ারা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান, কর্ণফুলী উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি মো. আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টুকু, এস এম হোসেন, রফিক আহমেদ, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমির আহমেদ, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. ফারহানা মমতাজ, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিম উদ্দীন হায়দার, সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিক হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহেদুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাঈদ খাঁন আরজু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ সাথে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।