শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আলোকবর্তিকা : এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ। ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৮১ সালে আলো হাতে আঁধারের কান্ডারী হয়ে বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাঙালি জাতির আশা-আকাঙক্ষার বাতিঘর। তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সৌভাগ্যবান কারণ তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। যে প্রধানমন্ত্রী ১৯ বার জাতিসংঘে ভাষণ দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল রেকর্ড স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পায়। তিনি দেশে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ভাবতেন। তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে নতুন প্রজন্ম। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বমানের শিক্ষা পেয়ে সুনাগরিক হতে পারে। যে কোনো জায়গার শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুধু তাল মিলিয়েই চলা নয়, উন্নত প্রযুক্তিটাও যেন সে আয়ত্ত করতে পারে।সেই ভাবেই তাদের গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্রের মাধ্যমে হল দখল ও টেন্ডারবাজি হয়েছিল। সেশন জট ছিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার কোনো পরিবেশ ছিল না। সাধারণ ছাত্ররা নিরাপদে হলে থাকতে পারত না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষার্থীদের আদর্শ রাজনীতির পথ চলার শিক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই ও কলম তুলে দিয়েছেন। বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে চলছেন। তিনি প্রতিটি উপজেলা শহরে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করছে। তিনি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছেন। পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নতুন ভবন করে দিচ্ছেন। দেশের কৃষি শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এজন্য প্রতিটি জেলা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছেন।
এছাড়া শিক্ষকদেরকেও তিনি নানানভাবে সম্মানিত করছেন। এ সব কিছুর মূলে রয়েছে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একটি বিশ্বমানের আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলা।
সংগঠনের সভাপতি মিয়া মনসফের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আক্তার, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহাবুদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র তোজাম্মেল হক টুটুল, সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারিক আফজাল, প্রধান উপদেষ্টা লাকী ইনাম, উপদেষ্টা জহির কাজী।
এসময় শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, আওয়ামী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন