শেরপুরের  শ্রীবরদীতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত

তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত ভারতের মেঘালয় ঘেঁষা সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরছে চারদিক। দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) শ্রীবরদী উপজেলায় দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা ছিলো ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা যায়, সন্ধ্যার পরপরই ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এলাকা। সামান্য দূরের বস্তুকে দেখা যায় না কুয়াশার জন্য। মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে বৃষ্টির মতো ঘনকুয়াশা ঝরা। সঙ্গে থাকছে উত্তরের হিম বাতাসের কারণে তীব্র শীত। সারাদিন সূর্যের দেখা না মিললেও হিম বাতাসের জন্য তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল।

তবে ঘনকুয়াশার জন্য সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল যানবাহনকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে হয়েছে। ঘনকুয়াশা আর হিম বাতাসের জন্য বেশ বিপাকে কর্মজীবী দিনমজুর ও ক্ষেতমজুররা। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে মাঠেঘাটে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, হাত-পা অসাড় হয়ে যাচ্ছে। কাজে যেতেও পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

তীব্র শীতের কারণে দুর্ভোগে পরেছে বয়স্ক ও শিশুরাও। প্রতিনিয়ত হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় আলু ক্ষেত ও বোরো বীজতলা নিয়েও শঙ্কায় কৃষকরা। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আগুন পোহাতেও দেখা যাচ্ছে শিশু কিশোর ও বৃদ্ধদের।