শেরপুরের শ্রীবরদী সরকারি কলেজে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকথন ও সন্মাননা
১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস- বাঙালি জাতির আত্মগৌরবের দিন। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী সরকারি কলেজে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকথন ও সম্মাননা প্রদান এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো.আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আব্দুল্লাহ সালেহ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ জনাব মো. আক্রাম হোসাইন।
আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন অত্র কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা পরিষদের সম্পাদক, কাজী হাসানুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে মুক্তিযুদ্ধে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা তুলে ধরেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আব্দুল্লাহ সালেহ জানান, ১৯৭১ সালে আমি দশম শ্রেনীর ছাত্র ছিলাম। ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে হাতের কলম ফেলে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি এক ভিন্নধর্মী কাজেও অংশ নিয়েছিলাম। এক পর্যায়ে আমি কলার ভিতর বিষ মিশিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের ক্যাম্পে প্রবেশ করেছিলাম। আমাকে টাকা না দিয়েই আরও লাথি মেরে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই বিষ মিশ্রিত কলা খেয়ে ২৮ জন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মারা যান।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তারা নানান অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার তুলে দেন অতিথি বৃন্দ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন