শেরপুরে মাদ্রাসা কমিটি গঠন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

বুলবুল আহম্মেদ, শেরপুর থেকে : শেরপুরে তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। পুলিশসহ আহত ১০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ৬৭ রাউন্ড শর্টগান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয় এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মিনহাজ উদ্দিন এক পক্ষের কাছে লাঞ্ছিত হন। ৭ জুলাই শনিবার দুপুরে শহরের মুন্সী বাজার এলাকার মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ও আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে আহতদের শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। কমিটির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো: আব্দুল ওয়াদুদ ওদু ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম স্বপন।

কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত একটি পক্ষ মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম স্বপনকে রাখার ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছিলেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, ফখরুল মজিদ, খন্দকার নজরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনোরুল হাসান উৎপল এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়েব আহম্মেদ শাকিলসহ শহরের পূর্বাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক জনতাও ছাএনেতা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। এ খবর মুহুর্তের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর রুমান , সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: বায়েজিদ হাসানসহ শহরের পশ্চিমাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক ছাত্রনেতা ও-জনতা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এসে হাজির হন।

এ সময় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও পাঁচ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন। আতঙ্কে শহরের মুন্সীবাজার ও নয়আনী বাজার সহ এলাকার অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।