শোক দিবসে যেভাবে ওড়াতে হবে জাতীয় পতাকা

১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

পতাকা অর্ধনমিতভাবে কীভাবে ওড়াতে হবে, সেই নিয়ম জানিয়েছে সরকার। বুধবার (১০ আগস্ট) সরকারি তথ্যবিবরণীতে এই নিয়ম জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে পতাকাটি প্রথমে সোজাভাবে দণ্ডায়মান পতাকাদণ্ডে রশির সাহায্যে পতাকাদণ্ডের মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর দণ্ডের মাথা থেকে পতাকার প্রস্থের সমান নিচে নামিয়ে পতাকাটি বাঁধতে হবে।

দিন শেষে পতাকাটি নামানোর সময় আবার দণ্ডের মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।

পতাকা বিধিতে বলা হয়েছে, পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং সবুজের ভেতরে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট। আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে লাল বৃত্ত এবং বৃত্তটি পতাকার দের্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধবিশিষ্ট হবে।

ভবনে উত্তোলনের জন্য পতাকার তিন ধরনের মাপ হচ্ছে- দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ ৬ ফুট; দৈর্ঘ্য ৫ ফুট, প্রস্থ ৩ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৫ ফুট, প্রস্থ এক দশমিক ৫ ফুট।

ছেঁড়া বা বিবর্ণ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। মানসম্মত কাপড়ে যথানিয়মে তৈরি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে বলেও তথ্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।