‘সংক্রমণ এড়াতে তোফা-তহুরাকে রাখা হয়েছে আইসিইউতে’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহানুর ইসলাম জানিয়েছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তোফা-তহুরাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। এ জন্য কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

তোফা-তহুরা আশঙ্কামুক্ত কি না—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শাহানুর ইসলাম বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই বলা যাচ্ছে না তারা আশঙ্কামুক্ত কি না। এ ছাড়া তাদের ১০ দিন পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। সবার ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় আমরা সফল অস্ত্রোপচার করতে পেরেছি।’

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তোফা-তহুরার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের জ্ঞান ফেরে। শিশু দুটোর অস্ত্রোপচারে বিভিন্ন বিভাগের ১৬ জন সার্জন যুক্ত ছিলেন। তোফা-তহুরা যেভাবে জোড়া লাগানো ছিল, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’।

শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘পাইগোপেগাস’ শিশু আলাদা করার ঘটনা এটিই প্রথম। এর আগে অন্য হাসপাতালে তিন জোড়া শিশুকে অস্ত্রোপচার করে আলাদা করা হয়েছে, তাদের ধরন ছিল আলাদা।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন ইউনিয়নের কৃষক রাজু মিয়ার স্ত্রী শাহিদা বেগম জোড়া লাগানো যমজ সন্তানের জন্ম দেন।

তোফা আর তহুরার পিঠের দিক থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত মেরুদণ্ডের হাড় সংযুক্ত ছিল। মাথা-হাত-পা আলাদা হলেও তাদের মলদ্বার ছিল একটি। জন্মের পর থেকে ১০ মাস তোফা ও তহুরা একসঙ্গে বড় হয়েছে।