সংক্রমণ ঠেকাতে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আসতে পারে

গত কয়েকদিন ধরে দেশে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।এছাড়া দেশে করোনার রূপান্তরিত ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। এঅবস্থায় সংক্রমণ ঠেকাতে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।

শনিবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটে বুস্টার টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ঠেকাতে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানান।

এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ আরেক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা টিকা দিচ্ছি, পাশাপাশি বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। তারপরও দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের সর্তক থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশ লকডাউন দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জানুয়ারি থেকে নতুনভাবে টিকা কার্যক্রম চালু করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকা পৌঁছানো হবে। দেশে ১৫ হাজার ওয়ার্ডে ২৮ হাজার বুথে ২০২২ সাল থেকে টিকা দেওয়া হবে। টিকার কোনো অভাব নেই। আমরা ৩১ কোটি টিকার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, এর মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা আমাদের হাতে চলে এসেছে। ৭ কোটি টিকা প্রথম ডোজ ও ৫ কোটি টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।’

দেশে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারজাতের কথা জানিয়ে সেদিন মন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ওষুধ আমাদের দেশে বাজারজাত করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি নিরমা ট্রেলভির (nirmatrelvir) ও রেটিনোভির (retinovir) ট্যাবলেট দুটি বাজারজাত করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড। পাঁচদিনের পূর্ণ ডোজ হিসেবে মোট ৩০টি ট্যাবলেট খেতে হবে, যার দাম ১৬ হাজার টাকা। ১২ বছরে ঊর্ধ্বে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ট্যাবলেট সেবন করতে পারবেন। এটা করোনা চিকিৎসার জন্য মাইলফলক। এর কার্যকারিতা ৮৮ ভাগ বলে জানা গেছে।