সংঘর্ষের পর চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ফের উত্তেজনা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংঘর্ষের পর শুক্রবার বিকেল থেকে ফের উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিবাবদমান দুটি পক্ষ চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেয়র নাছিরের অনুসারীরা শাহ জালাল হল ও নওফেলের অনুসারীরা শাহ আমানতে হলের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়ে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ রাতে সংঘর্ষ জড়ায়। শুক্রবার বিকেলে ফের দুই পক্ষ দুই হলে অবস্থানে নিয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা শক্ত অবস্থানে আছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী ইংরেজী বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আবু হেনা রনিকে উন্মুক্ত মঞ্চের সামনে মারধর করে নওফেলের অনুসারী সিএফসি পক্ষের কর্মীরা। এ ঘটনার জেরে গভীর রাত পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়ায় বিবাদমান দুটি পক্ষ। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। পরে পুলিশের শক্ত অবস্থানে দুই পক্ষ পিছু হটলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মোট সাতজন আহত হয় বলে পুলিশ ও মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে।
সংঘর্ষে নওফেলের অনুসারী সিএফসি পক্ষের আহত পাঁচ কর্মী হলেন- রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আল আমিন, একই শিক্ষাবর্ষের সংস্কৃতি বিভাগের তুষার রায়, সংস্কৃতি বিভাগের ফয়সাল আলম , ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ শুভ, ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ আরিফ। তারা ক্যাম্পাসে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে আ জ ম নাছিরের অনুসারী ভিএক্স পক্ষের আহত দুই কর্মী হলেন- ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের রনি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির রহমান।
মেয়র নাছিরের অনুসারী চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মনসুর আলম বলে, নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিং করতে ছাত্রলীগ নামধারী অনুপ্রবেশকারীরা সক্রিয়। তারা বার বার অন্তর্কোন্দলের সৃষ্টি করছে। যারা এসব করছে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।
নওফেলের অনুসারী বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, মধ্যস্বত্ত্ব ভোগী একটি চক্র ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য আরেকটি চক্রকে উসকে দিয়েছে। তারা শেখ হাসিনার নাম বিক্রি করে চলে। দ্রুত এই অবস্থার নিরসন না হলে আমরা আমরা আমাদের পথে হাঁটতে বাধ্য হব।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন,পরিস্থিতি থমথমে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সতর্ক আছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন