সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ বাড়ছে ২৫ বছর

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়াতে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবিধানের এ সংশোধনের মাধ্যমে আরও ২৫ বছর সংসদের নারী আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থাটি কার্যকর থাকবে। সংবিধান সংশোধন আইনের খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা কম ছিল ওটা বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে, ২০১১ সালে এটা করা হয়। সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে আবার নতুনভাবে মেয়াদ কার্যকর করার জন্য প্রস্তাবটা আনা হয়েছে। এ ৫০টি আসন আগামী ২৫ বছরের জন্য আবার সংরক্ষিত থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা এমনভাবে হবে যে, পরবর্তী সংসদের (একাদশ সংসদ) প্রথম বৈঠক (অধিবেশন) থেকে শুরু করে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত সংসদ না ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত এসব আসন সংরক্ষিত থাকবে।’

এর আগে তিন দফায় ৩৫ বছর বাড়ানো হয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ। আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি শেষ হবে সর্বশেষ বাড়ানো নারী আসনের ১০ বছর মেয়াদ।

২০০৪ সালে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনে নারী আসন ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ করা হয়। ২০০৯ সালে ৪৫ থেকে তা ৫০ করা হয়। ২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৪৫টি নারী আসনের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী সংসদের অর্থাৎ নবম সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে দশ বছর। নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসেবে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ আছে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। তবে ওই সময় আর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।