সংলাপ হবে, তবে সিদ্ধান্ত সংবিধানের আলোকে : বাণিজ্যমন্ত্রী

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে সংবিধানের আলোকে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবি ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে সংলাপে বসবে। যেকোনও বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত হবে সংবিধানের আলোকে।’

এ সময় ‘সংলাপ ব্যর্থ হলে ভবিষ্যত কী’, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যত সুনির্দিষ্ট, লক্ষ্য এক। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ নির্বাচনের তত্ত্বাবধায়নে থাকবে নির্বাচন কমিশন। আমরা সবাই সেই নির্বাচনে অংশ নেবো।’

সংলাপের ডিনারের বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আতিথেয়তা পরায়ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অতিথি আপ্যায়ন পছন্দ করেন। এটি ভদ্রতা। এ নিয়ে প্রশ্ন বা বিতর্ক সৃষ্টি করা ঠিক না।’

এ সময় সাজানো মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে ওঠা এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘কারো নামে সাজানো কোনও মামলা নেই।’ তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সাজানো ঘটনা, ২৪ জনের প্রাণহানি সাজানো বিষয়?’

বিএনপির দাবি অনুযায়ী রাজবন্দিদের মুক্তি দানের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও রাজবন্দি নেই। বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন, আমরাও জেলে ছিলাম। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল না। আমরা ছিলাম রাজবন্দি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ তাদের দলের অন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাদের সাজা হয়েছে। কাজেই কেউ রাজবন্দি নন।’