সন্তান কোলে থানায় মামি, অভিযোগ তার ভাগ্নে শিশুটির পিতা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সৌদি প্রবাসী আপন মামার স্ত্রীকে তথা মামিকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর ভাগ্নেকে (গৃহবধূর ননদের ছেলে) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে গ্রেফতার আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণের ১১ মাস পর এক মাসের কন্যা শিশুকে কোলে নিয়ে বেগমগঞ্জ থানায় এসে তিনি ধর্ষণের কথা জানান নির্যাতিতা।

তার দাবি, শিশুটির বাবা তার বড় ননদের ছেলে।

অভিযুক্ত কিশোরের নাম নাজমুল আলম সোহান (১৬)। সে উপজেলার সোনাইমুড়ীর কাইয়া গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির প্রবাসী মো. মোরশেদ আলমের ছেলে এবং চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
তবে তারা দীর্ঘদিন থেকে চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকায় বড় ননদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। ওই সময় ভাগ্নে সোহান তাকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনার
১১ মাস পরে মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বেগমগঞ্জ থানায় অভিযুক্ত সোহানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূর মামলায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।