সব ধরনের সেমি অটোমেটিক বন্দুক নিষিদ্ধ করল নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে আধা-স্বয়ংক্রিয় ও অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন। বৃহস্পতিবার তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

গত ১৫ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আল নুর ও লিনউড মসজিদে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান নিয়ে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত উগ্রবাদী সন্ত্রাসী ব্রেনটন টারান্ট। তার নৃশংসতায় অন্তত ৫০ জন মুসল্লি নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হন।

ঘটনার ছয় দিনের মাথায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ এপ্রিল অস্ত্র নিষিদ্ধ সংক্রান্ত নতুন আইন উপস্থাপন করা হবে। সেইসঙ্গে নিষিদ্ধ করা যেসব অস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে আছে তা কিনে নেওয়ার জন্য সরকার একটি প্রকল্পও হাতে নেবে বলে জানান তিনি।

আরডার্ন বলেন, ‘ভয়াবহতম এই ঘটনার ছয় দিনের মাথায় আমরা মিলিটারি টাইপ সব ধরনের সেমি-অটোমেটিক (আধা-স্বয়ংক্রিয়) ও অ্যাসল্ট রাইফেল নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি।’

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিন এবং বন্দুককে স্বয়ংক্রিয় রূপান্তর করতে সহায়তা করে এমন উপাদান নিষিদ্ধের কথাও জানান তিনি।

এর আগে বিবিসি জানায়, হামলাকারী মোট পাঁচটি অস্ত্র ব্যবহার করে। তার মধ্যে দুটি আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও দুটি শটগান। এসব অস্ত্র সে অনলাইনে কিনেছিল।

অবশ্য ঘটনার পর পরই নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে গত সোমবার দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়।

ন্যাক্কারজনক ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি এ ব্যাপারে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।

এদিকে, আগামীকাল শুক্রবার আতঙ্কিত মুসলিমদের সমর্থনে দেশটির নারীদের সবার হিজাব পরার আহ্বান জানানো হয়েছে। হ্যাশট্যাগ #হেডস্কার্ফফরহারমনি ব্যবহার করে এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।