পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন,জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম।শিক্ষকরা সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর।সমাজের মঙ্গলে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।শিক্ষকের সততা,নিষ্ঠা,আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ভীষণ জরুরি। শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকা অপরিসীম। তাদের শিক্ষার্থীদের সাথে মাতৃতুল্য ও পিতৃতুল্য আচরন এবং সঠিক ভাবে পাঠদানের মাধ্যমেই আগামীর নতুন প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পাশাপাশি উন্নত স্মার্ট বাংলা দেশ গড়ার ভিশন পূর্ণ হবে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারী) বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে নব নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ‘শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগান কে সামনে রেখে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ১১০ জন সহকারী শিক্ষকগণের এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটে। তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা সবার আগে। বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের সবোর্চ্চ গুরুত্ত্বারোপ করেছে।সবার জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে যা করার তা সুপরিকল্পিভাবে করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছেন।১ জানুয়ারি সারাদেশে বই বিতরণে ঐতিহাসিক সাফল্য সারাবিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে।সারাদেশে শতভাগ উপবৃওি চালু করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,সরকারের যথাপোযুক্ত পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে ঝরেপড়া শিক্ষার্থী কমেছে। শিশুরা এখন বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ এবং শিক্ষার মান উন্নতকরণের জন্য শিশুরা এখন আনন্দের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকছে। শিক্ষকরাও মানসম্মত শিক্ষাদানে বদ্ধপরিকর। নব নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ তাঁরা নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত। মেধাবীরা এখন শিক্ষকতায় এগিয়ে আসছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা যেন নিজেদের পেশার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন এজন্য তাদের সাথে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আচরণ ইতিবাচক হওয়া দরকার। তাদেরকে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এর শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পাঠদানে দক্ষ করতে হবে। দেশ ও জাতি গড়তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেয়ে কেউ বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন না।২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হবে আজকের এই শিশুরা। তাই অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে শিশুদের স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাই,সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুনসহ বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু।