সর্দি, কাশি দূর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করণীয়

শীত এখনও পড়তে শুরু করেনি, কিন্তু প্রকৃতি ইতিমধ্যেই শুষ্ক হতে শুরু করেছে। দূষণের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ঠান্ডা, কাশি, ফ্লু এবং জ্বরের মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। শুষ্ক চোখ, সর্দি, নাকবন্ধ, গলাব্যথা, মাথাব্যথা এবং বমি বমিভাবসহ আরও কিছু লক্ষণ এসবের মধ্যে অন্যতম। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার, যার মাধ্যমে মহামারী ও শীতের এই সময়ে সর্দি কাশি দূর করা সম্ভব এবং বাড়ানো সম্ভব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

আখের রস পান
আখের রস বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। যদি আপনার রস পছন্দ না হয় তবে কাঁচা আখ চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি লিভারকে পরিষ্কার এবং ডিটক্সাইফাই করতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এটি অলসতা দূর করে এবং মেজাজ ভালো রাখে।

হলুদ দুধ
একে গোল্ডেন মিল্কও বলা হয়। হলুদ দুধ বায়ু দূষণের খারাপ প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম সহজ ঘরোয়া উপায়।

এটি তৈরি করতে একগ্লাস দুধে ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ফোটান। পানীয়টি হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। স্বাদ এবং সুবিধা বাড়ানোর জন্য কিছু জাফরান এবং গুড় মেশাতে পারেন। হলুদ তার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য পরিচিত এবং কাশি, সর্দি এবং ফ্লুতে দ্রুত সারাতে সহায়তা করে।

শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন
ধুলোবালির কারণে বাইরে বের হওয়া বাদ দিচ্ছেন? এটি শরীরের জন্য মোটেও উপকারী নয়। যদি বাইরে যেতে না পারেন তাহলে বাড়িতে কিছু হালকা অনুশীলন করুন। আপনি আপনার বাড়ির ভেতরে বা বারান্দায় হাঁটতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেও উপকার পাবেন।

নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন
আমরা সবাই জানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে পানি। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি রোগ প্রতিরোধে এবং পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াটিকে গতিতে সহায়তা করে।

ঘি
এক ফোঁটা ঘি ঘুমাতে যাওয়ার সময় এবং সকালে নাকের ছিদ্রে ব্যবহার করলে তা নিঃশ্বাস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ডায়েটে দু’-তিন চামচ ঘি রাখতে হবে। এটি হাড়, লিভার এবং কিডনিতে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে বাধা দেয়।

গুড়
গুড় এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য এবং লৌহ সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হিমোগ্লোবিনের স্তর বাড়াতে সহায়তা করে। যার ফলে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি দূষণের তীব্র প্রভাব হ্রাস করতে সাহায্য করে।

বিটা ক্যারোটিন
বিটা ক্যারোটিন পরিবেশে ফ্রি র্যাডিকাল এবং দূষণের জন্য দায়ী পদার্থের উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিনের কয়েকটি সাধারণ উৎসের মধ্যে রয়েছে মেথি বীজ, পালং শাক এবং লেটুস।