সাকিবের পর বিদায় নিলেন মুশফিকও
আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে তাই সাকিবের কাছে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২৩ বলে ১৫ রান করতেই রবীন্দ্র জাদেজার বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে দেন। দলীয় ১৭৭ রানে বিদায় নেন সাকিব।
এর ঠিক দুই রানের মাথায় মুশফিকও ফিরলেন সাজঘরে। কেদার যাদবের বল মিডউইকেটে মারতে গিয়ে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়লেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক। বিদায়ের আগে ৮৫ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৬১ রান করেন মুশি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান। মাহমুদউল্লাহ ১ ও মোসাদ্দেক হোসেন ৪ রানে ব্যাট করছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। দলের স্কোরশিটে মাত্র ১ রান জমা হতেই সৌম্য সরকারের উইকেটটি হারিয়ে ফেলেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। ভুবনেশ্বরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন সৌম্য। রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাংলাদেশি এই ওপেনার।
দ্রুত উইকেট হারানোর পর তামিমকে সঙ্গ দেন সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৩০ রান। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাব্বির। পারেননি। ভুবনেশ্বর কুমারের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়েছেন। পয়েন্টে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। ২১ বলে চারটি চারে ১৯ রান করেন তিনি।
শুরুর ধকল সামলে নিতে বাংলাদেশের হাল ধরেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীম। তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। দলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখেই কেদার যাদবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। বিদায়ের আগে ৮২ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৭০ রান করেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার।
বামিংহামের এজবাস্টনে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় জিতেছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশকে পাঠিয়েছেন ব্যাটিংয়ে।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে আজ মাঠে নামার আগে মাশরাফিবাহিনী আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে ২০০৭ বিশ্বকাপ। যেখানে টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আবার ভাবনায় আছে ঘরের মাঠে ২০১৫ সালের সিরিজ জয়ও। দুর্দান্ত খেলে দাপটের সঙ্গে দেশের মাটিতে ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দেয় টাইগাররা।
এছাড়া ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়ে ভারতের কাছে হারের পর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই প্রায় যুদ্ধাবস্থা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ১ রানে ভারতের জয় এ উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে আরও। এবার সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে সেই হারের প্রতিশোধের সুযোগ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২৬৫ রানে আটকে রাখার পাশাপাশি সাকিব-রিয়াদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেট জয় ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে টাইগারদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
এদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আসর শুরু করে ভারত। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজিত হয়েও দুর্দান্ত প্রতাপে শীর্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করেছে ভারতীয়রা। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিংরা। আর বল হাতে ভুবনেশ্বর, বুমরা, যাদবরাও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এর মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে আছে এই মাঠেই বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারানোর স্মৃতি।
এদিকে পরিসংখ্যানের হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। এখন পর্যন্ত ৩২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে এ দুই দল। এর মধ্যে ভারত ২৬টি এবং বাংলাদেশ ৫টিতে জয় পেয়েছে। একটি ম্যাচে কোন ফলাফল আসেনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন