সাতক্ষীরার কলারোয়ায় করোনাকালে গ্রামাঞ্চলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধে অর্থ সংকট!
লকডাউনে এনজিও এবং মফঃস্বল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অর্থ সংকটে সাতক্ষীরার কলারোয়ার গ্রামীণ জনপদের বহু মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, পহেলা বৈশাখের আগের সপ্তাহে ঢিলেডালা ভাবে লকডাউন চলে। এরপর অনেকটা আকস্মিক ভাবে ১ লা বৈশাখ থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ফলে অনেকের কাছে খবর পৌছার আগে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। এতে সংসার যাত্রা নির্বাহ এবং ধান ঘরে তোলার খরচ সংগ্রহ করে রাখার আগে উপজেলার মফঃস্বল ব্যাংক ও এনজিও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ধান কাটা বা সংসারযাত্রা নির্বাহ করার জন্য এনজিও এবং ব্যাংকে জমা রাখা টাকা তুলতে পেরে বহু পরিবার অর্থ সংকটে চরম বিপাকে পড়েছে। আবার যারা ধানকাটা ঘরে তোলার জন্য ঋণ গ্রহণের অপেক্ষায় ছিল তারাও বিপাকে পড়েছে।
ব্যাংক এনজিও বন্ধ থাকায় রোজা ও লকডাউনে কম বেচাকেনার অজুহাতে চাষীদের উৎপাদিত পন্যের দাম কমে গেছে। এতে চাষীরা প্রচন্ড আর্থিক কষ্টে পড়েছে। লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভিন্ন এলাকা থেকে আগত পন্য বেশী দামে কিনতে যেয়ে বহু মানুষ অর্থসংকটে পড়েছে।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে মফঃস্বল ব্যাংক চালু হলেও গ্রামের অসহায় দরিদ্র জনগোষ্টীর এনজিও চালু না হওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতির সংকট প্রকট হয়ে উঠছে।
বহু কৃষক ও ব্যবসায়ী জানায়, জমা রাখা টাকা তুলতে না পারায় সব কর্মকাÐ অচল হয়ে পড়েছে। অনেকে ঋণ না পেয়ে বিপাকে পড়েছে। পৃথক পৃথক ভাবে শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন, আহসানিয়া মিশন, ব্রাক কর্মকর্তারা জানায়, টাকা পরিশোধের পরে যাদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল প্রতিনিয়ত এসে তাদের কাজ কর্ম সংসারযাত্রা অচল হয়ে যাওয়ার দুঃসহ বেদনার কথা জানাচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন