সাতক্ষীরায় বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল এবং লবণ সহিষ্ণু বিনাধান ও মাঠ দিবস

বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল এবং লবণ সহিষ্ণু বিনাধান -১০ এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাঠ দিবস ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 

সোমবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়ায় অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন।

 

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা কতৃক আয়োজিত মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনা ধান ১০ এর উদ্ভাবক বৈজ্ঞানিক বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।|

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চল ডিএই এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ফজলুল হক, সাতক্ষীরার ডিএই উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ নুরুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা বিনা উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মো : বাবুল আকতার , শ্যামনগর কৃষি উপসহকারী প্রকৌশলী জামাল হোসেন।

 

বিনা-১০ ধানের উদ্ভাবক ও বিনার মহাপরিচালক বৈজ্ঞানিক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, আমি আমার দেশকে ভালোবেসে,দেশের মানুষের কথা ভেবে এই উচ্চফলনশীল এবং লবণ সহিষ্ণু বিনাধান -১০ উদ্ভাবিত করেছি। আপনারা বিনা ১০  ধান লোনা পানির এলাকায় সহজেই চাষ করতে পারবেন এবং এই ধান উচ্চফলনশীল হবে। তিনি আরও বলেন, সঠিক পরিচর‌্ যায় প্রতি হেক্টরে ৬টন ধান পাওয়া যায়।

 

চাষী অশোক কুমার বলেন, আমরা লোনা পানির জন্য ১০ বছরেও কোন দিন ভালো ফসল ফলাতে পারিনি কিন্তু এবছর আমি জানতে পারি যে, লবণ সহিষ্ণু ধান আবিষ্কার হয়েছে।আমি তখন কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি এবং তাদের কাছ থেকে ধান নিয়ে আমি চাষ করি এবং বিঘাপ্রতি ২২ মনের ওপরে ধান পেয়েছি।

মাঠ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বিনা মহাপরিচালক বৈজ্ঞানিক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ সকলে ধান কেটে ধান কাটার শুভ সূচনা করেন।