সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের ৪ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজের ৪ দিন পর মোঃ রবিউল ইসলাম (১০) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ফাইভস্টার স্কুলের পাশে মৃত আবুল হোসেনের বাড়ির সিঁড়ির নিচ থেকে রবিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশু রবিউল পাবনার জেলার সাথিয়া থানার ধোপাদাও গ্রামের মোঃ সুমন হোসেনের ছেলে। সে তার পরিবারে সঙ্গে আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকায় আল-আমিন শেখের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো।

প্রতিবেশী সাত্তার মুন্সী বলেন, ওই বাড়ি থেকে গতকাল সন্ধ্যা থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন আশে পাশে বসবাসকারীরা।
মানুষ ভেবেছিল কুকুর বা কোন প্রানী হয়ত মারা গিয়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়েছে।

পরে আজ সকালে ওই বাড়িতে সিঁড়ির নিচে পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো লাশ দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর জানতে পারি এই শিশুই কিছুদিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু।

পুলিশ জানায়, নিখোঁজ শিশুটির বাবা রিকশা চালক এবং মা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে রবিউলকে বাড়িতে রেখে তারা কাজে চলে যান। পরে দুপুর একটারদিকে শিশুটির বাবা বাড়িতে এসে ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজি শুরু করে। আজ ওই বাড়ির সিঁড়ির নিচে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

শিশু রবিউলের বাবা সুমন হোসেন বলেন, ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে পরে বাড়ির মালিকের শ্বশুড় কলিম উদ্দীন মাঝির বাড়িতে খোঁজ নিতে যান। এ সময় বাড়ির মালিক আল-আমিন শেখ এর স্ত্রী ইয়াছিমন বেগম জানায়, বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে রবিউল তাদের বাড়িতে এসেছিল। পরে কোথায় গেছে তারা জানে না।

তিনি আরও জানান, প্রায় এগারো মাস আগে বাড়ির মালিক আল-আমিনকে তিনি আড়াই লাখ টাকা ধার হিসেবে দিয়েছিলেন। সেই পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় তাকে নানা ধরণের হুমকি দেয়া হয়। এদিকে শিশু রবিউল নিখোঁজের পর থেকেই আল-আমিন শেখের শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ী বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে গেছে। এ ঘটনায় তিনি শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম আওয়ার নিউজকে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে সাথে আইনী প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এজাহারের ভিত্তিতে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।