সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের সুদীর্ঘ কালের সামাজিক ঐতিহ্য। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই ঐতিহ্য রক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মন্দিরের সেবাইত, পুরোহিত সহ সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়মিতভাবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, ধর্মীয় বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ যাতে আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না করতে পারে-এ বিষয়ে সকলকে সজাগ ও ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী জামালপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারী নির্যাতন এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সংবিধানে উল্লিখিত ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতির মূলনীতি অনুসরণ করে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের রক্তের উত্তরাধিকারীরা এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়, পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন, পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক
আব্দুল্লা-আল-শাহীন, বাংলাদেশ আওয়ামী জামালপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী।

এর পূর্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আজ জামালপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি করণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি সচেতনতামূলক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।