সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নীলিমাস একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

যমুনার নদী বিধৌত বেলকুচি ও এনায়েতপুরের মানুষ দীর্ঘ সময় যমুনার সঙ্গে লড়াই করছেন ও মোকাবিলা করেছে ঝড়-ঝঞ্ঝা। তবুও তাঁতশিল্পের জন্য এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনও অনেক পিছিয়ে।

এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রসারে কাজ করছেন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটি অব বেলকুচি ও এনায়েতপুরের (পুসাব) শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া এসব শিক্ষার্থীরাই পারে কুসংস্কার দূর করে আলোর দ্যূতি ছড়িয়ে দিতে। যে সকল শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, আপনাদের সহযোগিতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।

এ লক্ষ্যে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিটি অব বেলকুচি-এনায়েতপুরের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আনিসুর রহমান। গতকাল (২২ অক্টোবর) নীলিমাস একাডেমি কোচিং সেন্টার থেকে বিভিন্ন সেশনে দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স প্রাপ্ত ২৫ জন শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

নীলিমাস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলী রেজা আকাশের সভাপতিত্বে ও ফিউচার ইনোভেটিভ লিডার্স অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাকিম সরকার নিলয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুসাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন জীম। ‘পুসাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল এইচ রিপন ও সংবর্ধনা প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা।

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুপ্রেরণামূলক কথা বলা আবেগীয় ব্যাপার। স্মৃতির এলবামে দিনটি গচ্ছিত থাকবে নীলিমা’স একাডেমির ৫ম ব্যাচের ৫ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে এবং ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়ে চান্স পেয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পেয়েছে।

১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বনি আমিন তার দিকনির্দেশনায় রাজশাহী বোর্ডে ২য় স্থান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে এবং প্রত্যাশা করেন সামনের দিনগুলোতে যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সের হার বৃদ্ধি পায়।