সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সভাপতি ও অধ্যক্ষের দ্বন্দ্বে ৪ জনের বেতন ভাতা বন্ধের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষ সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আর এই দ্বন্দ্বের জন্য পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে বেআইনী ভাবে অব্যহতি দেন। অব্যহতি দিয়ে ঐ কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ কে,এম খালেকুজ্জামানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন।
পরে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা অব্যহতি বেআইনী ঘোষনা চেয়ে বিজ্ঞ বেলকুচি সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উক্ত আদেশের ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা মহামান্য হাইকোর্ট সিভিল রিভিশন ৫০৬/২৩ নম্বর মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট দৌলতপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ পদের ব্যাপারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে আদেশ প্রদান করেন।
এরপর থেকে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সোনালী ব্যাংকের ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখা ব্যাবস্থাপক মাকসুদুল হক রাসেলের যোগসাজশে একক রেজুলেশন তৈরি করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে,এম খালেকুজ্জামান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্বাক্ষরে তাদের অনুসারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। আর অধ্যক্ষ মাসুদ রানা, ল্যাব সহকারী শরিফুল ইসলাম, প্রদর্শক তন্ময় কুমার শীল ও প্রভাষক উম্মে রুমানের জুন মাসের বেতন ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা জানান, উচ্চ আদালতের আদেশকে উপেক্ষা করে সভাপতি যে কাজ করছেন সেটা যেমন অমানবিক তেমনি আদালতের রায়ের স্পষ্ট লংঘন পাশাপাশি পেশী শক্তির চরম অপব্যবহার।
পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা জানান, অধ্যক্ষ ও সভাপতির দ্বন্দ্বের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম চরমভাবে নষ্ট করেছেন এবং তারা একাডেমিক দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসছ।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ক্ষিদ্রমাটিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মাকছুদুল হক রাসেল জানান, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষর স্বাক্ষরিত কাগজে যাদের নাম ছিল তাদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীদের মাধ্যমে কোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি, তবে নির্দেশনা অস্পষ্ট। কলেজের রেজুলেশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে ঐ কলেজের উপাধ্যক্ষের নিকট অন্যান্য শিক্ষকদের বেতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতি বছর জুন মাসে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিতে হয়, তাই যারা অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করেনি তাদের
বেতন হয়নি।
এব্যাপারে সভাপতির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন