সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ঈদ বাজার নিয়ে সোনাবানের কুঁড়ে ঘরে এমপি মেরিনা জাহান কবিতা

কবি জসীম উদ্দীনের আসমানীদের কুঁড়ে ঘরের কথা বলছি না; বা শুনাচ্ছি না মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাড্ডিসার মানুষদের করুন বাস্তবতা ; এমনকি বলছিনা কবি আশরাফ সিদ্দিকীর তালেব মাষ্টারের কথাও। বলছি একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের আমাদেরই সময়ে জীবনের সাথে তুমুল যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা অসহায় বৃদ্ধা নারীর আত্মকথা।

শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের বাড়াবিল গ্রামের সোনাবান; প্রতিবেশিরা অনেকে ডাকে ডুকলি নামে। সোনাবানের তাঁত শ্রমিক স্বামীটাও টিভি রোগে ভুগতে ভুগতে মেরা গেছে ২০ বছর আগে। এরপর থেকেই শুরু হয় ৬ সন্তানকে খেয়ে পড়িয়ে বাচিয়ে রাখার জীবনের আসল লড়াই। স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়িও ছেড়ে আসতে হয় সোনাবানকে। কোনরকমে একটা কুঁড়ে ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন ভাইয়ের বাড়িতে ।

পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলের মুখে অন্য তুলে দিতে অন্যের বাড়িতে কাজ নেন। কঠিন জীবন যুদ্ধের মাধ্যমে কোনরকমে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। তাঁত শ্রমিক ছেলেটা বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে থাকে। মায়ের কোনো খোঁজ খবরও নেয় না ছেলে। তাই এই শেষ বয়সে এসেও সোনাবানের একাই লড়তে হচ্ছে জীবনের লড়াই।

এমনই এক অপরাজেয় জীবন যোদ্ধা সোনাবানের কুঁড়ে ঘরে ঈদের আগের দিন হঠাৎ সিরাজগঞ্জ -৬ আসনের এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা খাদ্য সামগ্রী আর শাড়ী কাপড় নিয়ে ছুটে গেলেন গ্রামের পথ ধরে। উপহার হাতে ছোট্ট কুড়ে ঘরে এমপিকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন অসহায় বৃদ্ধা সোনাবান। কেবল ঈদ উপলক্ষেই নয় অসহায় এই বৃদ্ধাকে গত ৪ বছর যাবৎ সবরকম সহায়তা দিয়ে আসছেন এমপি মেরিনা জাহান কবিতা। সোনাবানের জীবন যুদ্ধের এই করুন দশা জানার পর থেকে গত চার বছর যাবৎ নিয়মিত সহায়তা দিয়ে আসছেন এমপি মেরিনা জাহান কবিতা।

এদিন উপহার সামগ্রী দেওয়ার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসাদ উল্লাহ তুষার, মনিরুল গনি চৌধুরী শুভ্র, ফারুক হাসান কাহার প্রমুখ।