সিলেটের ঘরে ঘরে অগ্রাহয়ণের পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ, কৃষকের মুখে হাসি
সিলেট জুড়ে অগ্রাহয়ণের পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। অগ্রাহয়ণের ৪-৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম গঞ্জে পাকা ধান কাঠার উৎসব। এ বছর আশানুরুপ ফসল হওয়াতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। হাওর এলাকায় দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে পাকা ধানের মাঠ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,মাঠে ঘাটে ও বাড়িতে ধান কাটার পর মাড়াই চলছে। কৃষকেরা ব্যস্ততম সময় কাটাতে দেখা যায়। সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, মোগলাবাজার, জৈন্তাপুর, বিয়ানীবাজার উপজেলায় বেশির ভাগ ধান কাটা শেষ পর্যায়ে।
জানা গেছে, চলতি বছর বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় উফশী এবং স্থানীয় জাতের মিলে ১৫ হাজার, ৮শ ৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। বালাগঞ্জে আবাদ হয়েছে ৭হাজার ৫শ ৮০ হেক্টর। ওসমানীনগরে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় আবাদকৃত জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৭শ ১৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বালাগঞ্জে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ২শ ৬৫ মেট্রিক টন এবং ওসমানীনগরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪শ ৫০ মেট্রিক টন। বালাগঞ্জের একজন কৃষক জানান, চলতি বছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানিয়েছেন, মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চলতি বছর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। ফলন বাম্পার হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার ধান কাটার ধুম শুরু হয়েছে। প্রায় ২০ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন