সিলেটের চাঁন্দাইয়ে পুলিশ কনস্টেবলের ভাইয়ের উপর হামলা ।। থানায় অভিযোগ

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পুলিশ কনেস্টেবল এর বড় ভাই যুবলীগ নেতার উপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার কনেষ্টেবল শিপু আহমদের বড় ভাই সিলেট মহানগর আওয়ামী যুবলীগ নেতা, চান্দাই তেলিপাড়া গ্রামের মৃত কলমদর আলীর ছেলে শিপন আহমদ বাদী হয়ে গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার চাঁন্দাই মাঝপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস শহিদের ছেলে ফখরুল ইসলাম রুকন মিয়া ও শিপন আহমদ, ফখরুল ইসলামের ছেলে রুমেল আহমদ ও মান্না মিয়ার নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভূমি নিয়ে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়ার শফিক উদ্দিনের স্ত্রীর মিনারা বেগম ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চান্দাই পশ্চিমপাড়ার রাজা মিয়া গংদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত সিলেট অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মামলা চলছে। যার নং ২৮/২০১৮ইং। আদালতের নির্দেশে গত ৩ ডিসেম্বর সরজমিন তদন্তের জন্য বরইকান্দি ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী উক্ত ভূমি পরিদর্শন করেন। এ সময় বাদী সহ অন্যান্য মোরব্বিয়ানগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে বাদী- বিবাদী উভয় পক্ষকে ভূমির দলিলাধি নিয়ে আগামী ৭ ডিসেম্বর ভূমি অফিসে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে ভূমি অফিসার চলে যান।

ভূমি অফিসার চলে যাওয়ার পর বাদী ও অন্যান্য মুরবিয়ানগণের সাথে আলাপ-আলোচনার সময় ১নং বিবাদী ফখরুল ইসলাম রুকন মিয়া কোন কারণ ছাড়া বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। বাদী গালাগালের কারণ জিজ্ঞেস করিলে ১নং বিবাদীর হুকুমে সমূহ বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠি নিয়ে বাদী শিপন আহমদকে প্রাণেমারার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।

হামলার সময় বরইকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বারসহ মুরব্বিয়ানগণ বিবাদীগণের হাত থেকে বাদী শিপন আহমদকে প্রাণে রক্ষা করেন। এসময় বিবাদীগণ বাদীকে হত্যা সহ প্রাণনাশের হুমকী ধমকী দেয়।

বাদী শিপন আহমদ তার নিরাপত্তা চেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য দক্ষিণ সুরমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ দায়েরের পর গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিবাদী শিপন আহমদ শিববাড়ি বাজারে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদী শিপন আহমদকে আক্রমণ করে। এ সময় বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে হামলাকারীর হাত থেকে শিপনকে রক্ষা করেন। প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিপন আহমদ।

আলাপকালে বরইকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল মিয়া জানান, হামলা হয়নী, উভয় পক্ষই গালিগালাজ হৈ-হুল্লা করেছেন, বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বিয়ান ও সুমিত মেম্বার এবং আমি দু’পক্ষের লোকজনদের অন্যত্রর সরিয়ে দিয়েছি, উভয়কেই বলেছি জায়গা জমির বিষয় এইটা ভূমি অফিস দেখবে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানা অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।