সিলেটে রমজান মাসকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/02/sylhet-3-1-900x450.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
রমজান মাসকে সামনে রেখে সিলেট ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সিলেটের পাইকারী বাজার কালিঘাটে ভোজ্যতেলের হঠাৎ করে দাম বাড়তির কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, কোম্পানী গুলো চাহিদা মতো তেল সরবরাহ না করায় ডিলাররাও ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় তেল সরবরাহ করতে পারছে না। দোকানীরা পর্যাপ্ত তেল না পাওয়ায় একদিকে তেলের সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে। অন্য দিকে এই সঙ্কটকে পুঁজি করে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির সুযোগ নিচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী।
আসন্ন রোজা ও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এখন থেকে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের দাম মণপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে রোজায় বাড়তি দামে ভোজ্যতেল সংগ্রহ করতে হবে ভোক্তাদের।
কালিঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া বলেন, সিলেটের পাইকারী বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়েনি। তবে কোম্পানীগুলো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। আগে যেখানে অর্ডার নেয়ার ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে তেল সরবরাহ করা হতো, এখন সেখানে অর্ডার নেয়ার ১৫ দিন পর সরবরাহ করা হয়। এতে অধিকাংশ ব্যবসায়ীদেও তেল প্রায় শেষ হয়ে আসে। ফলে বাজারে সঙ্কট দেখা দেয়। রমজান আসার আগে তেল সরবরাহ কমিয়ে দেয়া ভালো লক্ষণ নয়।
খুচরা বাজার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেটের বাজারে লিটার প্রতি সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯২ টাকায়, খোলা সয়াবিন লিটার প্রতি ১৬৮ থেকে ১৭২, খোলা পাম অয়েল ১২০ থেকে ১২৫, সুপার পাম অয়েল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। সরবরাহ সংকট থাকায় এর চেয়ে বেশি দামেও ভোজ্যতেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। বোতলজাত সয়াবিন নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের।
জানা গেছে, দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মণ প্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে (সরবরাহ আদেশ বা এসও পর্যায়ে) ৪ হাজার ৭০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও একই মানের সয়াবিনের দর ছিল ৪ হাজার ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। এক সময় পাইকারি বাজারে মাসভিত্তিক এসও বিক্রির নেওয়াজ থাকলেও আসন্ন রমজানে দাম বৃদ্ধির শঙ্কায় দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিতে এসও বিক্রি কার্যত বন্ধ রয়েছে।
এ কারণে পণ্যটির দাম প্রতিদিন বাড়ছে। এসও পর্যায়ে মণ প্রতি ৪ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে লেনদেন হলেও মিলগেট থেকে সরাসরি উত্তোলনযোগ্য পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৯০০ থেকে ৫ হাজার টাকা মণ দরে।
অন্যদিকে, পাইকারি বাজারে মণ প্রতি সুপার পাম অয়েল এসও পর্যায়ে লেনদেন হচ্ছে ৪ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ৯৫০ টাকায়, নগদে ৫ হাজার ১০০ টাকায়। এ ছাড়া এসও পর্যায়ে সয়াবিন লেনদেন হচ্ছে ৬ হাজার ৪৫০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ এবং নগদে বিক্রির ক্ষেত্রে সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৬০০ টাকায়। গ্রীষ্মে সয়াবিনের পরিবর্তে পাম অয়েলের চাহিদা বাড়তি থাকবে।
এ কারণে সয়াবিনের পরিবর্তে পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের বাজার চাঙ্গা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন