পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিদেশী পৃষ্ঠপোষকতায় শিশু নিকেতন

শিশু নিকেতনটির নাম হ্যাক্রো শিশু নিকেতন। ২০১২ সালে ধানিসাফা ইউনিয়নের পূর্ব ফুলঝুড়ি গ্রামের এক প্রত্যান্ত অঞ্চলে চালু করা হয় এটি।স্থানীয় ফকির বাড়ির লোকজন এর পরিচালক হলেও পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছেন কয়েকজন জার্মান নাগরিক।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার পূর্ব ফুলঝুড়ি গ্রামের এ শিশু নিকেতনটির পরিচালক রিয়াজুল হক স্বপন।স্থানীয় ফকির বাড়িই তাদের গ্রামের বাড়ি।এখন ঢাকায় থাকেন।ঢাকায় থেকেই শিশু নিকেতনটি পরিচালনা করেন তিনি। ঢাকায় একাধিক গার্মেন্টস কারখানার মালিক থাকার সুবাদে পরিচয় হয় সংশ্লিষ্ট জার্মান নাগরিকদের সাথে।তারা পোশাক কারখানার বায়ার।হ্যাক্রো শিশু নিকেতনে হ্যাক্রো শব্দটি বিদেশী পোশাকের একটি ব্র্যান্ডের নাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গত সপ্তাহে দু’টি হেলিকপ্টারে ১২ জন জার্মান নাগরিক শিশু নিকেতনটি পরিদর্শনে আসেন।এ সময় মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) গোলাম সরোয়ারের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম হ্যালিপ্যাডের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।প্রতিবছর পরিদর্শনে আসায় শিশু নিকেতন সংলগ্ন মাঠে হ্যালিপ্যাডটি তৈরি করা হয়।

হ্যাক্রো শিশু নিকেতনটিতে সুপার সহ ৫ জন শিক্ষক রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে ২০ জনের মত।৬/৭ বছর বয়সে সীমিত আকারে এতিম ও দুস্থ শিশুদের ভর্তি নেওয়া হয়।ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের সবাই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত সকল ব্যায় বহন করেন পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা জার্মান নাগরিক।

শিশু নিকেতনের পরিচালক আসাদুল হক এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।তবে রুবেল নামে একজন কথা বলেন। তিনি জানান,জার্মান নাগরিকরা হ্যাক্রো শিশু নিকেতনে কোন অর্থ ব্যয় করেন না।সকল ব্যয় বহন করেন রিয়াজুল হক স্বপন।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান,পূর্ব ফুলঝুড়ি গ্রামের ওই শিশু নিকেতনটি সম্পর্কে আমরা অবগত নেই।এর কোন রেজিস্ট্রেশন আছে কি না তাও জানা নেই।দুই-এক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।