সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদি খুন

সুনামগঞ্জে আদালত এলাকায় জেলা আইনজীবী সমিতির অফিসের সামনের খোলা জায়গায় আসামির উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে মামলার বাদির মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতা তিন আসামিকে আটক করে আইনজীবী সমিতিতে নিয়ে রাখার পর পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে মূল আসামি পালিয়ে গেছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

জানা গেছে, নিহতের নাম খোকন মিয়া (৪৫)। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে।

সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও মামলার আইনজীবী বাহার আহমদ জানান, জমিজমার বিরোধ নিয়ে খোকন মিয়া ও তার ভাই মাসুক মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়া, আফরোস মিয়ার ছেলে সেবুল মিয়া ও সাজিদ মিয়া এবং বাদশা মিয়ার ছেলে শাহান মিয়ার বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে।

তিনি জানান, মামলা চলাকালেই গত ১২ মে আসামিরা মামলার বাদিকে প্রাণনাশের হুমকি দিলে মাসুক মিয়া জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে বাদীর ভাই খোকন মিয়া আইনজীবী সহকারী সমিতিতে মামলার তথ্য জানতে আসলে সমিতির অফিসের সামনের খোলা জায়গায় আসামি ফয়েজ মিয়া, সেবুল মিয়া, সাজিদ মিয়া ও শাহান মিয়া তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন।

তিনি আরও জানান, এসময় তিন আসামি খোকন মিয়াকে ধরে রাখে এবং শাহান মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে খোকনের গলা, পিঠ, বুক ও পায়ে আঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। শত শত লোক নৃশংস এই ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি চারজনকে আটক করেন। তবে মূল হামলাকারী শাহান মিয়া পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ জনতার হাতে আটককৃত তিনজনকে থানায় নিয়ে যায় এবং নিহত খোকন মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে বলেও জানান তিনি।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।