সুনামগঞ্জে বন্যাকে পুঁজি করে নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দাম!

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যাকে পুঁজি করে নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা, মাঠে নামছে না প্রশাসন। উপজেলা সদর বাজারের থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজার ও পাড়া মহল্লার দোকান গুলোতে নিত্যপন্যের মূল্য নিচ্ছে ইচ্ছে মত। নিত্যপন্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন প্রশাসনের তদারকি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হারুন মিয়া জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে বিদ্যুতবিহীন ঘরে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা নেই। ঘরে দুটি মোমবাতি ছিলো, সোমবার রাতে জ্বালিয়ে শেষ। দোকান থেকে মোমবাতি কিনে আনতে হবে।

স্থানীয় বাজারে অনেক দোকান খুঁজে মোমবাতি না পেয়ে অবশেষে একটি দোকানে পেলেন- যে দোকানে মাঝে-মধ্যে নিত্যপণ্য ক্রয় করেন হারুন। কিন্তু সেই দোকানেরই বিক্রেতা তার কাছে মোমবাতির প্যাকেটের দাম চেয়ে বসলেন ১০০ টাকা। হতভম্ব হয়ে হারুন ‘এত দাম কেন’? জানতে চাইলে ওই দোকানি বিরক্ত হয়ে বললেন- ‘পোষালে নেন ভাই। শনিবার১২০ টাকা পর্যন্ত দিয়েও মানুষ মোমবাতি পায়নাই।

এ দৃশ্য জগন্নাথপুরের একটি বাজারের নয় জগন্নাথপুর চলমান ভয়াবহ বন্যায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট তৈরি হওয়ার সুযোগে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম ২-৫ গুণ বাড়িয়ে দিয়ে রীতিমতো ডাকাত রূপে আভির্ভূত হয়েছেন বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ। এইসব ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে মাত্রাতিরিক্ত দামেই অসহায় মানুষ অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গত শনিবার থেকে বন্যার কবলে পড়ে জগন্নাথপুর উপজেলা। বন্যাকবলিত হয় উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। তলিয়ে যায় অনেকের পুরো ঘর-বাড়ি। উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বাসাবাড়িতে ছিলো কোমর সমান পানি। সিলেটের বরাইকান্দি উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো উপজেলায় । দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট।

এ অবস্থায় জগন্নাথপুরের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী মোমবাতি, চিড়া, মুড়ি, গুড়, চাল, আলু ও কয়েলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ২ থেকে ৫ গুণ বাড়িয়ে দেন। অসহায় বন্যার্ত মানুষও বাধ্য হয়ে ‘ডাকাত রূপী’ এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাধ্য হয়ে এসব জিনিসপত্র কিনেন। জরুরী ভিত্তিতে বাজার তদারকির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী ভুক্তভোগী জনসাধারণের।