সেনাবাহিনী মোতায়েনে কারো উচ্ছ্বসিত হওয়ার কারণ নেই : আ’লীগ

সেনাবাহিনী মোতায়েনকে কেন্দ্র করে কারো উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিনিধিদলের প্রধান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আখতারুজ্জামান।

মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তারা কোনো দলের বা কারো পক্ষে নয়। সুতরাং এ নিয়ে কারও উচ্ছসিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশের পেশাদার সেনাবাহিনীর একটি সার্বজনীন মর্যাদা রয়েছে।’

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট থেকে আমাদের দেশ প্রেমিক পেশাদার সুশৃংখল সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে নিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তা খুবই আপত্তিজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমরা মনে করি। এই বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বা বিতর্ক করতে পারে এমন কোন প্রকার বক্তব্য থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে বলে আমরা আশা করছি।

আওয়ামী লীগের ওপর বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের হামলার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নির্বাচন করছে। সোমবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ নতুন বাজারের গণসংযোগ করতে যায় ব্যারিস্টার মওদুদ। উনি সব সময় উনার নিজের নিজের জিপ গাড়ি নিয়ে গণসংযোগ করে কিন্তু সোমবার সকালের ঘটনাটি ভিন্ন।

‘মওদুদ সাহেব নিজের জিপ গাড়ি গুলোকে না নিয়ে দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে যায় এবং এবং সে মাইক্রোবাস গুলো রেখে ৫০০ থেকে ৬০০ গজ দূরে গণসংযোগ করে। স্বাভাবিকভাবে ওই বাজারে উনার কর্মীরাই উপস্থিত ছিল এবং সেই কর্মীরা গিয়ে মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের পরে উনি সাংবাদিকদের ডেকে বলে মাইক্রোবাসগুলোতে ওবায়দুল কাদের সাহেবের কর্মীরা ভাঙচুর করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।

আখতারুজ্জামান বলেন, সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এসব হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা শুধু আচরণবিধির লঙ্ঘন নয়, এটা ফৌজদারি অপরাধও।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের ৫ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। আড়াই শ’র বেশি নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশ কাজ করছে আমরা মামলা করছি তারপরেও সামগ্রিকভাবে প্রশাসনিক সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব এখন নির্বাচন কমিশনের। উনাদের দিকনির্দেশনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই উনাদের কাছে এসে আমরা বিষয়গুলো অবহিত করছি।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষেরই অভিযোগ তারা হামলার শিকার হচ্ছে এরই মধ্যে আজ থেকে মাঠে সেনাবাহিনী নেমেছে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: অবশ্যই পরিস্থিতি পরিবেশ আগের চেয়ে সুন্দর হবে সুষ্ঠু হবে। আমরা চাই ৩০ তারিখের নির্বাচন সকলের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হউক।