সোনার দামে বছরজুড়ে তোড়জোড়

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যখন বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির তখন দরপতন শুরু হয় জ্বালানি তেলের বাজারে। এর মধ্যে এবছরের নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এসবের প্রভাবে সোনার দামে উত্থান পতন দেখা গেছে ঘণ্টা মিনিট হিসেব করে।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার কারণেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে ঘটেছে অস্বাভাবিক উত্থান পতন। সে সময় সব দেশই সোনার মজুত বাড়িয়েছিল। এতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম। একের পর এক হতে থাকে নতুন রেকর্ড।
গত ২৭ জুলাই প্রথম ৯ বছরের রেকর্ড ভাঙে সোনার দাম। বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স (এক আউন্স সমান ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) সোনার দাম বেড়ে হয় ১ হাজার ৯৪৪ ডলার। এর আগে ২০১১ সালে প্রতি আউন্স সোনার দাম উঠেছিল ১ হাজার ৯২১ ডলারে। অর্থাৎ সে সময়ের চেয়ে ২৪ ডলার বেড়ে দামের নতুন রেকর্ড গড়ে মূল্যবান এই ধাতু। ওই বৃদ্ধি নিয়ে বছরের ৭ মাস পর্যন্ত সোনার দাম বাড়ে ২৭ শতাংশ।

এরপরও বাড়তে থাকে দাম। আগস্টে একপর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭২ ডলার ৫০ সেন্ট পর্যন্ত উঠে যায়। এরপর ৭ আগস্ট থেকে কিছুটা কমতে দেখা যায়। এভাবেই কমা-বাড়া চলতে থাকে। নভেম্বরে এসে বেশ কমতে শুরু করে দাম। গত ৩০ নভেম্বর এক দিনে দাম কমে ১ শতাংশ। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

যেমন ৯ মাস ধরে বিশ্বকে আটকে রাখা করোনা নামক ভাইরাসের একটি টিকা আসছে তা নিয়ে আশা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট আসছেন এবং করোনার সংকট কাটিয়ে এগিয়ে চলেছে চীন।

বিশ্ববাজারে সোনার দামের উত্থান পতনের উত্তাপ ছুঁয়ে যায় দেশের বাজারকেও। গত সপ্তাহের বুধবার থেকে নতুন দর কার্যকর হয় সারাদেশে। এবার কমছে ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে লাগবে ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। সর্বশেষ গত ২৫ নভেম্বর সোনার দাম ভরিতে সাড়ে ২ হাজার ৫০৭ টাকা কমেছিল।