সৌদির জালে ৪ গোল দিয়ে আর্জেন্টিনা পেল ১ টি

কাতার বিশ্বকাপের শুরুতে আর্জেন্টিনা শিবিরে আফসোস ভর করেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবকে চেপে ধরে নাস্তানাবুদ করা সত্ত্বেও গোলের আনন্দ ঠিক সঙ্গী হয়ে উঠলো না আর্জেন্টাইনদের। কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে আরবদের জালে চার-চারবার বল জড়িয়েছিল আর্জেন্টাইনরা।

তবে প্রথমার্ধ শেষে সৌদি আরবের চেয়ে মাত্র ১-০ গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে লে আলবিসেলেস্তেরা। কারণ চারবার বল জড়ালেও তিনবারই অফসাইডের ফাঁদে গোল বাতিল হয়ে গেছে। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ১২ গজ দূর থেকে মেসির বাম পায়ের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন সৌদি আরবের গোলরক্ষক আল ওয়াইস।

বাম প্রান্ত দিয়ে অ্যানহেল ডি মারিয়া বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে বল পাস দেন লাউতারো মার্টিনেজকে। তবে তিনি বল গোলমুখে রাখতে ব্যর্থ হোন। সেই মুহূর্তে পেছন থেকে এসে শটটি নেন মেসি। এরপর আবারও আক্রমণে সৌদিয়ানদের ব্যতিব্যস্ত করে রাখে আর্জেন্টিনা। এরমধ্যে খেলার ৮ম মিনিটে কর্ণার পায় লে আলবিসেলেস্তেরা। সেখান থেকে বল আর্জেন্টাইনদের পায়ে থাকতেই আচমকা বাঁশি বাজায় রেফারি।

স্লোভেনিয়ার এই কোচ ভিএআর চেক করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি দেন। মেসি কর্ণার কিক নেওয়ার সময় সৌদির ডিফেন্ডার বুলাইয়াহি ডি-বক্সের মধ্যে লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে ফেলে দেন। আর তাতে পেনাল্টি পেয়ে সেখান থেকে সহজ গোলে দলকে এগিয়ে দেন মেসি।

বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি মেসির ৭ম গোল। আর ৪ গোল হলে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হবেন সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে দ্বিতীয় বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে গোল পেলেন মেসি।

মেসি এরপর আরেকবার সৌদির জালে বল জড়ান। ২২তম মিনিটে মেসি বল জালে জড়ালেও লাইন্সম্যান ফ্ল্যাগ তুললে হতাশায় ভাসতে হয় আকাশী-নীল জার্সিধারীদের। কারণ, অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় গোলটি।

এর ঠিক ৭ মিনিট পর আবারও বল জালে জড়ায় লে আলবিসেলেস্তেরা। এবার বল জালে জড়ায় লাউতারো মার্টিনেজ। তবে নতুন প্রযুক্তিতে দেখা যায় এই আর্জেন্টাইনের একটি হাত সৌদি ডিফেন্ডারের চেয়ে এগিয়ে ছিল। আর তাই আক্ষেপে পুড়তে হয় মার্টিনেজকে।

সেই আক্ষেপ মার্টিনেজের সঙ্গী হয় ঠিক ৫ মিনিট পর আবারও। ফ্রন্টলাইনে থেকে মেসি এই স্ট্রাইকারের উদ্দেশ্যে সহজ বল বাড়িয়ে দেন। তবে গোলের জন্য মরিয়া মার্টিনেজ একটু দ্রুত দৌড় দেওয়ায় আবারও অফসাইডের ফাঁদে পড়েন। তবে বল পেয়ে এবারও জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি।

ম্যাচের বাকি সময় আধিপত্য দেখিয়ে আক্রমণ করলেও আর গোল পাননি আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। এরমধ্যে ৫টি আক্রমণ করে তারা। অন্যদিকে সৌদি পারেনি কোনও আক্রমণই করতে।