স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বলি স্বামী, স্ত্রীসহ ৩ আসামির ফাঁসি

জয়পুরহাটে পরকীয়া প্রেমের জেরে মাইক্রোবাসচালক রহিম বাদশাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুর ইসলাম এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগির রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা খাতুন, শাল গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া ও গোপালপুর গ্রামের গোলাপ রহমানের ছেলে আইনুল ইসলাম। রায়ের সময় আকলিমা খাতুন জামিনে থাকায় অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের শাহাদাত হোসেন সাদার ছেলে রহিম বাদশার কাছে মাইক্রোবাস চালানো শিখতেন সেলিম মিয়া। এ জন্য তার বাড়িতে আসা যাওয়ার একপর্যায়ে স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সেলিম। সেই সম্পর্ককে বিয়েতে রূপ দিতে স্ত্রী-আকলিমা ও সেলিম রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

এরই সূত্রে ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে রহিম মাইক্রোবাসে গ্যাস তোলার জন্য বগুড়া গেলে সেখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী সেলিম ও আইনুল তার গাড়িতে ওঠে। পরে ভোর রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি-বারোকান্দী দো’সীমানা এলাকায় মাইক্রোবাসের মধ্যেই চালক রহিমকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় সেদিনই নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।