‘স্নেহের ঈদ উপহার’: প্রান্তিক শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিচ্ছে দারাজ
রমজানের ইতিবাচক বিষয়গুলো সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ, ডিএনসিসি’র সহযোগিতায় ‘স্নেহের ঈদ উপহার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানটি ১৮ এপ্রিল দুপুর দু’টায় ডিএনসিসি অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত অসহায় শিশুদের মাঝে ১৪ হাজার নতুন পোশাক বিতরণ করেন।
এই আয়োজনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ২ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘স্নেহের ঈদ উপহার’ – দারাজ কেয়ারসের অধীনে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি সামাজিক উদ্যোগ (কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি)।
ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের পাশাপাশি ঈদের পোশাক বিতরণের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দারাজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদের মধ্যে ছিলেন দারাজের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার- এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, হেড অব গভর্নমেন্ট রিলেশনস – মো. সামসুল মাসুদ, হেড অব সিএসআর অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট- আহসান জামিল এবং সিএসআর অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ- মশিউর রহমান।
এই আয়োজন প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে আমি দারাজকে এবং প্রান্তিক শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আজকে যারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সর্বস্তরের মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন তাই এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০টি ওয়ার্ডের ১৪ হাজার পরিবারের কাছে আমরা নতুন পোশাক পৌঁছে দিয়েছি। এই শিশুরাই আগামী দিন এই দেশ, এই বিশ্বকে পরিচালনা করবে। তাই তাদের সঠিক পরিচর্যার পাশাপাশি তাদের পথ দেখানোর দায়িত্বও আমাদের সকলের। শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ই-কমার্স শিল্পের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দারাজকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।”
দারাজের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, “দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দারাজ সমাজের সকল মানুষের মাঝে ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব অনুভব করে। ‘স্নেহের ঈদ উপহার’ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক শিশুদের মাঝে কিছুটা হলেও আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারছি। গত দুই বছর যাবত আমাদের এই পরিকল্পনা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারির কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তাই, এবারই প্রথম আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী বছরগুলোতেও আমরা এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবো বলে আশা করছি।”
দারাজ:
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ, অসংখ্য বিক্রেতাকে লক্ষাধিক ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করেছে। একশো’রও বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক এবং সহজ সুবিধাদানের সাথে সাথে প্রতি মাসে ২০ লাখেরও বেশি পণ্য বিশ্বের সকল প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একইসাথে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস এবং কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে ৫ হাজারেরও বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে। দারাজ বিভিন্ন লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলোকে মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান এবং নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে। ২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রæপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যেকোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এই লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ গর্বের সাথে কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে, দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব এবং প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন