নরসিংদীর ঘোড়াশালে জুটমিলের উৎপাদন পরিদর্শনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালস্থ বিজেএমসি নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ জুটমিলস ও ইজারা দেয়া জুট এলায়েন্স লিমিটেড পরিদর্শন করেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মোঃ গোলাম দস্তগীর গাজী। সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এ জুটমিল পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ, নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু নইম মোহাম্মদ মারফ খান, নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম, পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা আফসানা চৌধুরী পিএএ, বাংলাদেশ জুট মিলের প্রকল্প প্রধান আবুল কাশেম মোহাম্মদ হান্নান, জুট এলায়েন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

পরিদর্শন শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মোঃ গোলাম দস্তগীর গাজী সংবাদ সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন প্রতিশ্রতি ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জুটমিল শ্রমিকদের ৯৯ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। বাকী শ্রমিকেদের জাতীয় পরিচয় পত্রে কিছু সমস্যা থাকায় বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে একটু সময় লাগছে। তিনি নতুন ভাবে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়েও বক্তব্য তুলে ধরেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১৩ পাটকল ইজারা নিতে ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ২টি জুটমিল ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ২টি জুট মিলের লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিজেএমসি মূল্যায়ন করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর এফপি দেওয়ার অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। আরও কয়েকটি মিল ভাড়াভিত্তিক লিজ দেওয়া সম্ভব হলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

উল্লেখ্য, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২ জুলাই রাত ১০ টায় জুটমিল কর্তৃপক্ষ মিলের উৎপাদন বন্ধের বিজেএমসির নোটিশ বাংলাদেশ জুট মিলের প্রধান গেটে টানিয়ে দিয়ে মিলটির উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন মিলটি বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি জুট এলায়েন্স লিমিটেড নামে এক কোম্পানির সাথে ২০ বছরের চুক্তি করে বিজেএমসি। পরে বাংলাদেশ জুটমিলটি ১লা ফেব্রয়ারি বুঝে নেয় জুট এলায়েন্স লিমিটেড। এর পর ২৬ ফেব্রয়ারি তারা মিলের উৎপাদনে যায়।

মজুরি কমিশন-২০১৫ অনুযায়ী শ্রমিকদের সব পাওনাদী তাদের ব্যাংক হিসেবে পি এফ গ্র্যাচুইটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ সব পাওনা ৫০ শতাংশ নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে এবং বাকি ৫০ শতাংশ সঞ্চয়পত্র আকারে পরিশোধের কথা থাকলেও মিলের ১৩৮০ জন বদলী শ্রমিক ও ৯ জন স্থায়ী শ্রমিকদের কোন বকেয়া পাওনাদি এখনো পরিশোধ করা হয়নি। ফলে টাকা না পেয়ে বদলী শ্রমিকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিন যাপন করে যাচ্ছেন।