স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও সুপারিশ করলো সাত জেলায় লকডাউনের
করোনা সংক্রমণ রোধে সীমান্তবর্তী সাত জেলায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (৩১ মে) এ সুপারিশ করেছে তারা।
এর আগে সীমান্তবর্তী ওই সাত জেলাকে লকডাউনের মধ্যে আনতে সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি। এ বিষয়ে যে কোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র।
লকডাউনের আওতায় আসতে পারে এমন সাত জেলা হলো- নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা। এছাড়া নোয়াখালী ও কক্সবাজারের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সোমবার (২৪ মে) রাত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। যা এখনো চলছে।
এদিকে দেশে করোনার নতুন হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জেলা সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৭২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০০–এর মতো শনাক্ত হয়েছে গত ঈদের পর থেকে। ঈদের আগে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৪ শতাংশ, সেখানে কয়েক দিনের মধ্যে বাড়তে বাড়তে ২৬ মে ৫৫ শতাংশ এবং তারপর ৬২ শতাংশে উঠেছিল। তবে পরে একটু কমেছে।
গত শনিবার ৬২১টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, এ জেলায় এখন ৫৭৬ জন করোনা রোগী আছেন। এদের মধ্যে জেলার তিন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২২ জন। জেলা সদর হাসপাতালে ১৯ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন এবং গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসাধীন আছেন। এর বাইরে সদর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন। এছাড়াও অনেক রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জন মারা গেছেন গত ১৩ মে থেকে। গত শুক্রবার চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন