স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ফাইল গায়েব উদ্বেগজনক : বাংলাদেশ ন্যাপ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক ও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ এই রাষ্ট্র বিরোধী ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, ফাইলগুলো কোথায় গেলো, কে বা কারা সরালো, কেন সরালো সেটাই আজ জনগনে প্রশ্ন। এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, ওই বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া বাইরের কারো ফাইলগুলো সম্পর্কে জানা থাকার কথা নয়।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা অচিরেই হারিয়ে যাওয়া নথির সন্ধান মিলবে এবং কে বা কারা নথি সরানোর সঙ্গে জড়িত তার বা তাদের শনাক্ত করতে সামর্থ সরকার এমন আশা প্রকাশ করে বলেন, ফাইলগুলো যে বা যারাই সরাক তার পেছনে যে দুর্নীতিবাজদের হাত রয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। দেশবাসী মনে করছে গায়েব হওয়া ফাইলগুলোতে মন্ত্রনালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ আছে। প্রমাণ মিটিয়ে দেয়ার জন্য ফাইলগুলোই গায়েব করে দেয়া হয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদফতর, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে সাম্প্রতিককালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেশবাসীর মনে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, অনিয়ম-দুর্নীতির বাইরে একটি সূইও বোধহয় কেনা সম্ভব নয় বা সম্ভব হয়নি। এরকম গণধারণা কোনো মন্ত্রণালয় বা তার বিভিন্ন অঙ্গের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপমানজনক। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে পদস্থ কর্মকর্তা এবং এমন কি স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনা কতটা গুরুতর হতে পারে, তা সহজেই অনুমান করতে পারে সাধারন মানুষ।

তারা আরো বলেন, রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এমন অবহেলাও রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। ফাইল গায়েবের ঘটনায় স্পষ্ট যে, আমাদের দেশে ফাইল বা নথি তথ্য সংরক্ষণে পূর্ণ সর্তকতা ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্রের অতিগোপনীয় ফাইল বা নথিতথ্যও চুরি বা গায়েব হয়ে যেতে পারে। পাচার হয়ে যেতে পারে দেশের বাইরে। অতিগোপনীয় ফাইল ও নথিতথ্য উপযুক্ত ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ফাইল গায়েবের সাথে যে বা যারাই জড়িত থাক, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টামূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।