হাতীবান্ধায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৯ বিঘা জমির ধান কাটার অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়াসারডুবী এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ৯ বিঘা জমির পাকা ধান ও বাঁশ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নবী উদ্দিন ও স্বপন চন্দ্রসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
ওই এলাকার নাসির উদ্দিনের পুত্র শহিদুল ইসলাম সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে দাবী করেন, সিএস, এসএ ও বিআরএস মূলে আমরা এ জমির প্রকৃত মালিক এবং চাষাবাদ করে আসছি। বেশ কিছু আগে ওই এলাকার নবী উদ্দিন ও স্বপন চন্দ্রসহ কয়েকজনের ভুয়া মালিকানা সেজে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করেন। যার বিআরএস খতিয়ান নং ৫০৪, ৫৩১,৬৯০ ও ৬৯১। এর দাগ ৩৩৮৬, ৩৩৮৭, ৩৩৮৮, ৩৩৮৯, ৩৪৬৯,৩৪১০ ও ৪৭৮৬। উক্ত জমি আমার পিতা নাসির মিয়াসহ আমার পরিবারের নামে রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে।
কিন্তু নবী উদ্দিন ও স্বপন চন্দ্রসহ কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে ওই স্থানে শ্মশান ও মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা করছে। ফলে ওই এলাকায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দেখা দিতে পারে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তি শ্মশান ও মন্দিরের জন্য মাত্র ৭১ শতক জমি দাবী করলেও তারা ইতোমধ্যে আমাদের ৯ বিঘা জমির পাকা ধান ও বাঁশঝাড়ের বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় আমরা আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত উক্ত জমির উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে রোববার দুপুরে আবারও উক্ত জমির ধান কেটে নিয়ে যায় এবং শ্যামা পুজার নামে ওই জমিতে মূর্তি নিয়ে গিয়ে মন্দির বানানোর চেষ্টাও করেন।
তবে নবী উদ্দিন ও স্বপন চন্দ্র গং তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম বলেন, ওই জমির দ্বন্দ্ব নিয়ে একাধিক বার স্থানীয় ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু কয়েকজন ব্যক্তি শ্মশান ও মন্দিরকে ইস্যু বানিয়ে পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে সর্তক অবস্থানে আছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন