হাতীবান্ধায় দুই চেয়ারম্যানের সংঘর্ষে আহত ১০
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মানববন্ধন করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ী ইউনিয়নের জাওরানী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের জাওরানী এলাকার বক্সার আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল জব্বারের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। ওই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে গত ২ অক্টোবর দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বক্সার আলী গুরুতর আহত হয়ে ওইদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ৫ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরে নিহত বক্সার আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোন্নাফ হোসেন’কে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
নিহত বক্সার আলীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই মামলার প্রধান আসামি মোন্নাফ মিয়া ভেলাগুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক হওয়ায় মামলার এজাহার থেকে নাম বাদ দিতে ভুক্তভোগীর পরিবার’কে হুমকি দিয়ে আসছে। এদিকে সোমবার ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মোন্নাফ মিয়া’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ এনে প্রতিবাদে মানববন্ধন করে আব্দুল জব্বারের লোকজন।
মঙ্গলবার ওই মানববন্ধন করা’কে কেন্দ্র বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল মন্ডলের ছোট ভাই এটিএম সহিদুল ইসলাম মন্ডলের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পাল্টা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনসহ অন্তত ১০ জন। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডলের ভাই এটিএম সহিদুল ইসলাম।
এ বিষয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের ছোট ভাই মনছুর আলী বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মন্ডলের ছোট ভাই এটিএম শহিদুল ইসলাম মন্ডল ও সাদিকুল ইসলাম মন্ডল আমার বড় ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের উপর হামলা চালায়। আহত হয়ে তাঁরা রংপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
ভেলাগুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ইউপি নির্বাচনে হেরে সাবেক চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন এলাকায় শান্তি বিনষ্ট করছেন। একটি হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে আমার লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। ভেলাগুড়ীর পরিবেশ’কে অস্থিতিশীল করতে আমার লোকজনের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুর চালান। এ ঘটনায় আমার দুই ভাইসহ ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা আলম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত চলছে।অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন