হারের জন্য রেফারিকে দায়ী করে যা বললেন ব্রাজিল কোচ

২৮ বছর ধরে যেই অপেক্ষার প্রহর গুণছিলেন আর্জেন্টাইনরা সেই শিরোপা ধরা দিল লিওনেল মেসির হাত ধরে। মেসিরও এতোদিন ধরে অপবাদ ধুয়ে মুছে দিলেন। রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার শিরোপার লড়াইয়ে ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে দলের সিনিয়র সদস্য অ্যানহেল ডি মারিয়ার করা একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে লিওনেল স্কলানির দল।

ম্যাচে ফাউলের রেকর্ড হয়েছে। ব্রাজিল করেছে ২২টি, আর্জেন্টিনা ১৯টি ফাউল করেছে। আর এই ফাউলের ছড়াছড়িতে ম্যাচ গতি হারিয়েছে। বারবার বাঁশি দিয়ে ম্যাচ থামিয়েছেন উরুগুয়ান রেফারি এস্তেবান ওস্তোজিচ। আর এ বিষয়টিতে নাখোশ হয়েছেন ব্রাজিল দলের কোচ তিতে। পাশাপাশি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দেরও সমালোচনা করেছেন।

ম্যাচ শেষে রেফারিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিতে। বললেন, ‘খেলাটাকে এতবার থামানো হয়েছে! আমরা খেলতেই চেয়েছিলাম, কিন্তু ওখানে দেখা গেল অ্যান্টি-ফুটবল। পুরো সময়টায় দেখা গেল ফাউল আদায়ের জন্য ডাইভিং। সেই ফাউলের জন্যও তারা সময় নিল যেন অনন্তকাল! রেফারি খেলাটাকে চালু রাখতে পারেননি। কৌশলই ছিল খেলার গতি ভঙ্গ করা।’

গুরুর মতো একই সুরে অভিযোগ এনেছেন ব্রাজিল দলের অধিনায়ক থিয়াগো ডি সিলভা। তার মতে, প্রথমার্ধে এক গোলের লিড পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে শুধু সময় নষ্ট করার তালে ছিলেন মেসিরা।

সরাসরি আর্জেন্টিনার নাম উল্লেখ না করে থিয়াগো বলেন,‘প্রথমার্ধে তারা আমাদের নিষ্ক্রিয় করে রাখে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দিতাই হয়নি। কেবল একটি দলই ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে। আরেক দল কেবল সময় নষ্ট করেছে। এটা অবশ্য হারের বিষয়ে কোনো অজুহাত নয় আমার। কারণ আমরা জানতাম তারা এরকমই করবে। আমাদের যা করার ছিল, তা আমরা করতে পারিনি। প্রথমার্ধেই আমরা পিছিয়ে যাই।’

অবশ্য ম্যাচ সামারি বলছে ভিন্নকথা। গোল না পেলেও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়েছিল ব্রাজিলই। ম্যাচের ৬০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল নেইমাররা। শুধু বল দখলই নয়, শুট, পাস, গোলে শট, সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। শুধু গোলটি করতে পারেননি।

তথ্যসূত্র: রয়েটার্স