হেলেনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তাসহ ৫ মামলা করবে র‌্যাব

আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটি থেকে সদস্যপদ হারানো আলোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনে পাঁচটি মামলা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শুক্রবার র‌্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মাদক আইনে ছাড়াও বন্যপ্রাণী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীর অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লীমাতা’, ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গ থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে গ্রেফতারকৃতের খেতাব প্রচার-প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো। হেলেনা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তিনি ১২টি ক্লাবের সদস্যপদে রয়েছেন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে নাতি হিসেবে সম্বোধন করতেন। সেফুদার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনও ছিল।

হেলেনা জাহাঙ্গীর কন্যা জেসি আলম জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মদ মায়ের নয়, তার ভাইয়ের এবং এই মদের বৈধ লাইসেন্স আছে। এ বিষয়ে জানাতে চাইলে মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে উদ্ধার করা মদ তার ছেলের হলে সে কতোটুকু মদ রাখতে পারবে এটা তো আমরা জানি না। তার মেয়ে যদি এমন অভিযোগ করে তাহলে এতে প্রমাণিত হয় উদ্ধার করা মদ হেলেনা জাহাঙ্গীর এর রুম থেকেই উদ্ধার হয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে র‌্যাবের এক বার্তায় বলা হয়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।