১০ দিনে ৩৫২ বার ভূমিকম্প হয়েছে যে দ্বীপে!


ভূমিকম্পের তাণ্ডব পৃথিবীর যে কোনো স্থানকে কয়েক সেকেন্ডেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ফেলতে পারে। কিন্তু যদি শোনেন যে এই পৃথিবীরই এমন এক স্থান আছে যেখানে দিনকয়েক সময়ে কয়েক শত ভূমিকমম্পের ঘটনা ঘটেছে! বাস্তবে তেমনি এক রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
লা পালমা নামের একটি দ্বীপে ১০ দিন সময়ের মধ্যে ৩৫২ বার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
অনেকেই এটাকে ভয়াবহ দানবীয় একটি সুনামির সতর্কবার্তা বলে মনে করছেন। এমন ট্রাজিক কিছু ঘটে গেলে তা স্পেন এবং ব্রিটেনের জন্য ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্পেনের লা পালমা দ্বীপে সম্প্রতি এক সপ্তাহ সময়কালের মধ্যে ৩০০ বারের অধিক ভূমিকম্প ঘটেছে। তবে ওই ভূমিকম্পগুলোর বেশিরভাগই ছোট মাত্রার ছিল যা দ্বীপবাসীদের অনেকেই ঠাহর করতে পারেনি। মোট কথা সেগুলো ধ্বংসাত্মক নয়। তবে ভূমিকম্প তো ভূমিকম্পই- যে কোনো সময়ে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ উচ্চমাত্রার কম্পন। এমনটাই তো ঘটে থাকে অনেক প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে।
ভূমিকম্প আর সুনামির তাণ্ডব কী ভয়াবহ রূপ নিতে পারে তার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে কম্পিউটার গ্রাফিক্স ছবিটিতে
তবে অমন লাগাতার ভূমিকম্পের কারণ সন্ধানে বিজ্ঞানীরা দ্বীপটির ওপর এখন ২৪ ঘণ্টাই নজরদারি করছেন।
তাদের একটি দলকে লা পালমা দ্বীপে অবস্থিত আগ্নেয়গিরির সক্রিয় জ্বালামুখ কাম্বর ভিয়েজা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ ও ৭ অক্টোবর দুদিনের ভূমিকম্পের ৪০টির বেশি ঘটনা ঘটে ওই দ্বীপে। বেশিরভাগ ভূ-কম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ২.৭ এর ঘরে। এরপর ১৩ অক্টোবর একদিনে আসে ৪৪ টি ভূ-কম্পের ঘটনা যেগুলোর বেশিরভাগের মাত্রা ছিল ২.১।
এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ইনস্টিটিউট জানায়, দ্বীপের আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিনরাত ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ইন্সটিটিউটের পরিচালক জানান, এর আগে কখনো সেখানে এত অধিক সংখ্যায় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেনি।
দুনিয়াভর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে লা পালমা দ্বীপের কদর রয়েছে। সারাবছর সেখানে পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকে। ডেইলি মেইলের মতে, ওই অঞ্চলের দ্বীপসমূহের মধ্যে লা পালমাতে সক্রিয় আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ সবচেয়ে বেশি।
দ্বীপটিতে বর্তমানে বসবাসরত লোকের সংখ্যা ৮৬০০০।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন