১২০০ বিদেশি শ্রমিককে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে সিঙ্গাপুর
করোনা সেরে ওঠার পর আবারও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শনাক্ত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরের একটি শ্রমিক আবাসন কেন্দ্রের মোট ১২০০ শ্রমিককে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার ওয়েস্টলাইট উডল্যান্ডস ডরমিটরিতে নিয়মিত পরীক্ষার সময় মাত্র এক সপ্তাহ আগে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া এক কর্মীর করোনা শনাক্ত হয়। তার রুমমেটেরও করোনা ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত সেখানকার মোট ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরপরই সব শ্রমিককে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত ৬০ হাজার মানুষই ছিল জনাকীর্ণ শ্রমিক আবাসনের বাসিন্দা। এসব আবাসনের বেশিরভাগ বাসিন্দাই দক্ষিণ এশীয় কম মজুরির শ্রমিক। ওই সময় এসব আবাসনে লকডাউন দেওয়া হয়। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা থাকার পরও যারা সম্প্রতি ভারত সফর করেছে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে সিঙ্গাপুর।
১২০০ শ্রমিককে কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর বিষয়ে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কাজ শুরুর আগে এসব শ্রমিক বাড়ি থাকার নোটিশ অনুসরণ করার পরও ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থেকেই যায় আর আবাসন কেন্দ্রগুলোতে আরেক দফা সংক্রমণের কারণও হয়ে উঠতে পারে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবাসন কেন্দ্রে নতুন সংক্রমণের সঙ্গে ভারতের নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনার কোনও সংযোগ আছে বলে এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
উচ্চ ঝুঁকির দেশগুলো থেকে যাওয়া শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টিন সময় আরও বৃদ্ধি করেছে সিঙ্গাপুর। এছাড়া পরীক্ষাও কঠোর করা হয়েছে।
আক্রান্ত না হওয়া কর্মীদের টিকা দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সিঙ্গাপুর। এছাড়াও সুস্থ হয়ে ওঠা শ্রমিকদের এক ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির সরকার।
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রমিক আবাসনের বাসিন্দাসহ ১০ জনেরও বেশি মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পরে। এরপর থেকে আক্রান্তের আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন