১৫০ বার ভোটে দাঁড়িয়ে হেরেছেন, এবার লড়বেন ‘রাষ্ট্রপতি’ পদে
ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়া মানে ৫ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত। ভারতের মতো দেশে কে রাষ্ট্রপতি হতে চান না! এই সুযোগ কি আর ছাড়া যায়! শাসক আর বিরোধী শিবিরে রাষ্ট্রপতি পদে কাকে দাঁড় করানো যায়, এ নিয়ে যখন জোর তত্পরতা, তখন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৬ জন।
এর মধ্যে মুম্বাইয়ের এক দম্পতি রয়েছেন। নাম সাইরো বানো মহম্মদ পটেল এবং মহম্মদ পটেল আব্দুল হামিদ। তারা তো নিজের মুখে দাবি করছেন, দুজনের মধ্যে কেউ একজন রাষ্ট্রপতি হতে পারলে, দুজনই খুশি হবেন। এছাড়াও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের আনন্দ সিং খুশওয়া, তেলেঙ্গানার এ বালা রাজা, পুনে কোন্দেকার বিজয়প্রকাশ এবং তামিলনাড়ুর ডঃ কে পদ্মরাজন।
বিজয়প্রকাশ অবশ্য জানেন, এত সহজে রাষ্ট্রপতি হওয়া সম্ভব নয়। তবুও শখ বলে কথা! শখের তাগিদ যেমন ডঃ কে পদ্মরাজনেরও। তার শখটা অবশ্য হারার। গত ২৯ বছরের শখ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের ভোটে ১৫০ বার দাঁড়িয়ে হেরেছেন পদ্মরাজন। তবুও শখ মেটেনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরে এবারও অসফলতম প্রার্থীর তকমাটা আরও মজবুত করতে চান তিনি।
আগামী ১৭ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া ৬ জনের মধ্যেই এমন একজন পদ্মরাজন, যার ১৫০টি নির্বাচনে হারার ‘রেকর্ড’ রয়েছে। লিমকা বুক অফ রেকর্ডে তাকে উল্লেখ করা হয়েছে “সবচেয়ে অসফল প্রার্থী” বলে।
তামিলনাড়ুর সালেমের বাসিন্দা কে পদ্মরাজন। মোট ১৫০ টির উপর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাকে বলা হয় ‘ইলেকশন কিং’। জয়ললিতা, করুণানিধি, এ কে অ্যান্টনি, নরসিমা রাও, কে আর নারায়ণনের মত রাজনৈতিক হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ার ‘ইতিহাস’ রয়েছে তার।
রাজ্যসভা নির্বাচনে লড়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিরুদ্ধেও। আগেরবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি। তবে ১৫০ নির্বাচনে দাঁড়ালেও একবারও জেতা তো দুরে থাক, জামানত বাঁচাতে পারেননি তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন