২০ বছর ধরে টানা রোজা, ওমরাহ করেছেন ৩১৯৯ বার

হজ পালন প্রতিটি মুসলমানের পরম আরাধ্য। কারো ভাগ্যে হজ জুটে আর কারো হয়তো হজ করা সৌভাগ্য হয় না। আর্থিক ও কায়িক শ্রমের মিশেল থাকায় ইসলামের মৌলিক স্তম্ভটি (যাদের সামর্থ আছে, শুধু তাদের জন্য প্রযোজ্য) অনেকে পালন করতে সক্ষম হন না। তাই কেউ কেউ ওমরাহ করেন। আবার কেউ কেউ হজ আদায় করার পর ওমরাহ করে আল্লাহপ্রেমের ষোলকলা পূর্ণ করেন।

ওমরাহ করা হজের তুলনায় যথেষ্ট সহজ। কিন্তু একজন মানুষ সর্বোচ্চ কয়টি ওমরাহ করতে পারেন? ৫, ১০, ২০, ৫০ কিংবা সর্বোচ্চ ১০০টি! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, এক পাকিস্তানি ভদ্রলোক মোট ওমরাহ করেছেন ৩ হাজার ১৯৯টি। এতগুলো ওমরাহ তিনি গত সতের বছরের বিভিন্ন সময়ে আদায় করেছেন। বোদ্ধাদের ধারণা মতে, এমন সাফল্য ও সৌভাগ্য হয়তো আর কারো নেই। বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক ওমরাহ পালনকারী হিসেবে এমন চমৎকার ও সম্মানজনক অর্জনে তিনি রেকর্ড করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন’ রোববার (০৯ জুন) এমনটাই জানিয়েছে।

অতিমানবীয় এমন কীর্তি ও সৌভাগ্যেল অধিকারী ব্যক্তির নাম সৈয়দ দিলনাওয়াজ শাহ। পবিত্র মক্কা শরিফে রমজানের বরকতময় মাস কাটানোর পর বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) তিনি নিজ শহর করাচিতে ফিরে আসেন। মক্কায় থাকাকালীন তিনি দৈনিক ৩টি করে ওমরাহ পালন করেন। এভাবে সব মিলিয়ে প্রায় ৫ ডজন ওমরাহ সম্পন্ন করেছেন এ পবিত্র মাসে। এরপর রমজানের শেষ দশদিন তিনি মদিনা মুনাওয়ারায় পবিত্র মসজিদে নববীতে অতিবাহিত করেন।

সৈয়দ দিলনাওয়াজ ছয় সন্তানের পিতা। ২০১২ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি করাচির একটি গ্যাস কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন। গত ১৭ বছরের সময়কালে তিনি প্রায় প্রতি বছর একবার করে সৌদি আরব সফর করছেন।

সর্বাধিক সংখ্যক ওমরাহ পালনকারী সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেটে সার্চ দিয়ে পাওয়া যায় না। পারিপার্শ্বিক অন্যান্য তথ্য-উপাত্তেও এমন কোনো হিসেব উল্লেখ নেই। সে সূত্রে ধারণা করা হয়, সৈয়দ দিলনাওয়াজ শাহ-ই সর্বোচ্চ ওমরাহ পালনকারী।

অন্যদিকে আরো অবাককরা বিষয় হলো, গত ২০ বছর ধরে তিনি টানা প্রতিদিন রোজা রাখছেন। তবে নিষিদ্ধ (ইসলামে) দিনের সময়ে তিনি রোজা রাখেন না। এতো দীর্ঘ সময় রোজা রাখার এই যাত্রা তিনি শুরু করেছেন ১৯৯৯ সালের জুন থেকে।