৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুলে ভর্তি শেষ করার নির্দেশ
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। আর শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারি ছাড়া ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) মাউশ ‘র মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুকের সই করা অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মাউশি মহাপরিচালক বলেন, সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া যেন ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভর্তির ক্ষেত্রে যেন পরীক্ষা নেয়া না হয় এ বিষয়েও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভর্তি পরিচালনা কমিটি, ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকতে হবে।
আরও বলা হয়, শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি নীতিমালা (সংশোধিত-২০২১) অনুসরণ করে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কোনোভাবেই ১১০ টাকার বেশি ফি নেয়া যাবে না।
আগামী বছরের জন্য সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে ২৫ নভেম্বর। এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি হতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এই বয়স নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
ভর্তি কার্যক্রমের শর্তাবলী:
সরকারি বিদ্যালয়: ঢাকা মহানগরে ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।
সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।
এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মোট শূন্য আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
বেসরকারি বিদ্যালয়:
ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।
আবেদনকারীরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন