নারী নির্যাতন মামলার আসামি সেই জজের নিয়োগ স্থগিত

নারী নির্যাতন মামলার আসামি মো. শাহ্ পরানের বিচারক হিসেবে নিয়োগ স্থগিত করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী ১৩তম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা, ২০১৯ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ করা প্রার্থী মো. শাহ্ পরানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলায় তার সহকারী জজ (শিক্ষানবিশ), নেত্রকোণা হিসেবে যোগদানের কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।

উল্লেখ্য, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানায় শাহ পরানের বিরুদ্ধে মামলা হয় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর। অভিযোগ, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বাসে পাশের নারীযাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও শারীরিকভাবে আঘাত করেছেন তিনি।

নারী নির্যাতন মামলার বাদী জানান, ‘যখন আমার একটু একটু ঘুম আসছিল তখন তার ডান হাতটা বের করে আমার বা পাশের উরুতে পানস করে। পর পর দুইবার উনি পানস করে। তারপর আমি যখন তার দিকে তাকায় তখন উনি একটা চাদর দিয়ে তার মুখটা ঢেকে ফেলে। তখন ওনার চাদরটা সরিয়ে দেখি উনি ঘুমাননি। আমি তাকে সরি বলতে বলি কিন্তু সে সরি বলবে না। তখন আমার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলটা সে মুচড়ে দেয়।’

পরবর্তীতে এই মামলায় শাহ পরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ; পাঠানো হয় কারাগারে। তদন্ত শেষে ১৬১ ধারায় সাক্ষীদের জবানবন্দি এবং প্রমাণের ভিত্তিতে শাহ পরানের বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১০ ধারায় বাদী যে অভিযোগ করেছে, সে অভিযোগ অনুযায়ী চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগের প্রমাণ আমরা পেয়েছি।

এ ঘটনার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় শাহ পরানকে। কয়েক দিন আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সহকারী জজ নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, নিয়োগ পেয়েছেন শাহ পরান, জেলা নেত্রকোণা।